Anubrata Mondal

কেষ্টর ‘কোষ্ঠীবিচার’ করেন, জ্যোতিষী সুজিত হাজিরা দিলেন বোলপুরের সিবিআই শিবিরে

শান্তিনিকেতনের রতন কুঠির গেস্ট হাউসে অস্থায়ী ক্যাম্পে এসে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল জ্যোতিষী সুজিতকেও। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:৪৫
Share:

অনুব্রত মণ্ডলের জ্যোতিষী সুজিত দে-কে তলব সিবিআইয়ের। — নিজস্ব চিত্র।

গরু পাচার মামলায় এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র তলব এড়াতে পারলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জ্যোতিষীও। সুজিত দে নামে ওই জ্যোতিষীকে বুধবার ডেকে পাঠান সিবিআই আধিকারিকরা। সুজিতকে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনের রতন কুঠির গেস্ট হাউসে অস্থায়ী ক্যাম্পে এসে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল জ্যোতিষী সুজিতকেও। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। এর কিছু ক্ষণ পর দুপুর ২টো নাগাদ সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে যান সুজিত। দেখা যায়, তাঁর হাতে রয়েছে একটি ফাইল। তাতে বেশ কিছু নথিপত্র রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে সুজিত বলেন, ‘‘আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আমার তেমন কিছুই নেই। আমি অনুব্রত মণ্ডলের কোষ্ঠী দেখতাম শুধু। আমার আয়করের নথিপত্র-সহ সমস্ত সম্পত্তির কাগজ নিয়ে এসেছি।’’

অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি জ্যোতিষীর পরামর্শ নেন। সাংবাদিক বৈঠকের সময় তাঁর হাতে কয়েকটি আংটিও দেখা গিয়েছে অনেক বার। বুধবার সুজিত ছাড়াও আরও কয়েক জনকে তলব করেছিল সিবিআই। ডাকা হয় অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে। এ ছাড়াও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং বোলপুর রেজিস্ট্রি অফিসের আধিকারিকদেরও ডেকে পাঠানো হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement