কীর্ণাহারে শৌচালয় সাফাই করবে যন্ত্র

সম্প্রতি কীর্ণাহার ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃতীয় অর্থ কমিশনের ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকায় যন্ত্রটি কেনা হয়। তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কীর্ণাহার শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৭ ১৩:৪০
Share:

এই সেই যন্ত্র।—নিজস্ব চিত্র।

শৌচালয়ের চৌবাচ্চায় নেমে এত দিন মল পরিষ্কার করেছে মানুষই। কীর্ণাহার এলাকায় এই কাজটি এ বার করবে যন্ত্র। তাতে সাশ্রয় হবে অর্থও।

Advertisement

শুধু কীর্ণাহার নয়, গোটা নানুর ব্লক এলাকাতেই শৌচালয়ের মল পরিস্কার করে দেবে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। সম্প্রতি কীর্ণাহার ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃতীয় অর্থ কমিশনের ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকায় যন্ত্রটি কেনা হয়। তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী।

বেশ কয়েক বছর ব্যবহারের পর শৌচালয়ের চৌবাচ্চা মলে পূর্ণ হয়ে যায়। তখন পরিষ্কার করে তা ফের ব্যবহারযোগ্য করতে হয়। পুর এলাকায় যন্ত্রের সাহায্যে মল পরিষ্কারের ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ পঞ্চায়েত এলাকায় তা নেই। এই মল পরিষ্কার অমানবিক ব্যাপার। সাধারণত, একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ চৌবাচ্চায় নেমে হাতে করে মল পরিস্কার করেন। তারপর তা মল ঝুড়িবোঝাই করে অন্যত্র ফেলেন। প্রয়োজনের সময় অনেকক্ষেত্রে সেই লোকও মেলে না। তখন শৌচালয়ের পরিবর্তে মাঠঘাটই ভরসা হয়ে ওঠে।

Advertisement

পঞ্চায়েতের হিসেব অনুযায়ী, কীর্ণাহারে প্রায় পনেরো হাজার পরিবারের বাস। মিশন নির্মল বাংলা অভিযান প্রকল্পের সুবাদে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই শৌচালয় তৈরি হয়েছে। যার একটি বড় অংশই সরকারি ভর্তুকিতে তৈরি। ব্যক্তিগত খরচে নির্মিত শৌচালয়ের চৌবাচ্চা থেকে ওই চৌবাচ্চার আয়তন অনেক কম। স্বাভাবিক ভাবে ওই সব শৌচালয়ের চৌবাচ্চা অল্পদিনেই ভরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে শৌচালয়গুলি সংস্কারেরও সমস্যা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া যন্ত্র দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কারের খরচও অনেক কম বলে পঞ্চায়েতের দাবি। পঞ্চায়েতের হিসেবে, মানুষ দিয়ে একটি শৌচালয় পরিষ্কার করতে যেখানে খরচ পড়ে সাত থেকে আট হাজার টাকা সেখানে যন্ত্রে খরচ পড়বে মাত্র তিন হাজার টাকা।

যন্ত্র চালু হওয়ার কথা শুনে স্বস্তি ফিরেছে আনিসুর রহমান, তপন দত্ত, পীযূস মুখোপাধ্যায়দের। তাঁরা জানান, বেশ কয়েক মাস শৌচালয় অকেজো পড়ে রয়েছে। মোটা টাকা দিয়েও পরিষ্কারের লোক মিলছে না। তাই হয় প্রতিবেশীর বাড়ি, নয়তো মাঠঘাটেই যেতে হচ্ছে। এ বার সেই দুর্ভোগ ঘুচবে।

প্রধান শিবরাম চট্টোপাধ্যায় জানান, শুধু কীর্ণাহার নয়। গোটা ব্লকের মানুষই যন্ত্রের পরিষেবা পাবেন। সেক্ষেত্রে পরিবহণ বাবদ কিছুটা বেশি খরচ লাগবে। সভাধিপতি জানান, পঞ্চায়েত এলাকায় এমন যন্ত্রের প্রচলন এই প্রথম। অন্য জায়গাতেও ওই ধরণের প্রকল্প চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন