টাকা শুকোনো চলছে বান্দোয়ান ডাকঘরে।—নিজস্ব চিত্র।
জরাজীর্ণ ভাড়াঘর থেকে ডাকঘর সরায়নি ডাকবিভাগ। ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। রাস্তা থেকে নিচুতে থাকায় অল্প বৃষ্টিতে অফিসের বারান্দায় জল জমে যায়। ফলে এই বর্ষায় মাঝেমধ্যেই কাগজপত্র ভিজে যাচ্ছে বান্দোয়ান ডাকঘরে। শুক্রবার বিকেলের তুমুল বৃষ্টিতে অফিসের ভিতরে প্রায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। শনিবার ডাককর্মীরা ঘরের দরজা খুলে দেখেন অফিসের ভিতরে জল জমে রয়েছে। খাতাপত্র, নথি সব জলে ভিজে গিয়েছে। কম্পিউটারের কি বোর্ড জলে ভাসছিল। আলমারিও জলমগ্ন হয়েছিল। সেই আলমারিতে রাখা টাকাও ভিজে যায়। কর্মীরা এসে টাকা ও নথি বের করে শুকোতে দেন। কেউ কেউ মগ বের করে অফিসের ভিতরের জমা জল বাইরে বের করেন। তাঁরা বলেন, ‘‘কাজ আর হয়নি। জল বের করতেই হিমশিম খেয়েছি।’’ বান্দোয়ান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার বিভূতি মাহাতো বলেন, ‘‘আমাদের অফিসের বেহাল অবস্থার কথা সবাই জানেন। জলে কী কী নথি নষ্ট হয়েছে তাই বোঝার চেষ্টা করছি।’’ নানা কাজ নিয়ে ডাকঘরে আসা লোকজন কর্মীদের জল বের করতে দেখে আর কাজের কথা পাড়েননি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন আবার জল সরানোর কাজে হাতও লাগান বলে কর্মীরা জানিয়েছেন।
বছর দুয়েক আগে কর্মীরা ছাতা মাথায় অফিসে কাজ করছেন বলে আনন্দবাজারে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। পুরুলিয়া ডাক বিভাগের সুপারিন্টেডেন্ট তপন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়েছি। জলে যাতে নথি নষ্ট না হয় তা দেখতে বলেছি।’’ দু’বছরেও কি অফিসের জায়গা মিলল না? তপনবাবু বলেন, ‘‘অফিসের জায়গা দেখার কাজ চলছে। নতুন জায়গার সন্ধান পেলেই অফিস সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’