প্রতীকী ছবি।
ফের প্রতারণার শিকার ব্যাঙ্কের গ্রাহক। তাঁর অজ্ঞাতেই অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় টাকা উঠে গেল বলে অভিযোগ। বোলপুর থানার নিচু বাধগোরার বাসিন্দা সত্যব্রত সাহার দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৩৬ মিনিট থেকে তাঁর সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে ‘ট্রানজ়াকশন’ হয়। কোনও ওটিপি না আসা সত্ত্বেও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়।
বোলপুর নিচুপট্টি নীরদ বরণী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সত্যব্রতবাবু শুক্রবার সকালে বোলপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও অভিযোগ জমা দেন। তাঁর দাবি, তাঁর মোবাইলে মোট ২৯টি এসএএমএস আসে। তা থেকেই জানতে পারেন অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সত্যব্রতবাবু বলেন, ‘‘আমার এটিএম কার্ড আমি গত সাত-আট মাস ব্যবহার করিনি। কোনও ওটিপি আসেনি আমার ফোনে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হল, সেটাই বুঝতে পারছি না। এ তো যে কারও সঙ্গে হতে পারে!’’ এসএমএস থেকে টাকা তোলার কথা জানতে পেরেই ব্যাঙ্কের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে তিনি নিজের এটিএম কার্ডটি ব্লক করেন। ততক্ষণে অবশ্য বেশ কয়েক হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে।
প্রতিটি দফায় ৪২০ থেকে ৭৯৯ টাকা করে অ্যাকাউন্ট থেকে উঠেছে। সেই এসএমএসগুলির তথ্যও পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন ওই শিক্ষক। ওটিপি না এসেও কী ভাবে টাকা তোলা হল, সে বিষয়ে ব্যাঙ্ক বা পুলিশ সদুত্তর দিতে পারেনি। এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। কয়েক দিন আগেই শান্তিনিকেতন থানার প্রান্তিক টাউনশিপের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত নার্সিংকর্মী ফুলমণি সরেনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও দফায় দফায় টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল। তাঁর ফোনে কোনও ওটিপি আসেনি। তবে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে জালিয়াতেরা তাঁকে ফোন করেছিল। তিনি নিজের ডেবিট কার্ডের পিছনের একটি গোপন নম্বর বলে দিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।