প্লাস্টিক-মুক্ত গ্রাম গড়তে মাঠে বিডিও

কয়েক মাস আগে, ঘোষণা হয়েছে নির্মল পঞ্চায়েতের। আর তাই এ বার প্লাস্টিকমুক্ত গ্রাম গড়তে উদ্যোগী হল বোলপুরের রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েত। সোমবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান প্রীতিকণা দাসকে নিয়ে আচমকা অভিযানে নামেন বোলপুরের বিডিও শমীক পানিগ্রাহী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

চলছে গ্রামে সাফাই। নিজস্ব চিত্র।

কয়েক মাস আগে, ঘোষণা হয়েছে নির্মল পঞ্চায়েতের। আর তাই এ বার প্লাস্টিকমুক্ত গ্রাম গড়তে উদ্যোগী হল বোলপুরের রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েত। সোমবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান প্রীতিকণা দাসকে নিয়ে আচমকা অভিযানে নামেন বোলপুরের বিডিও শমীক পানিগ্রাহী। গ্রামে ওই অভিযানের সময়ে, চায়ের দোকান থেকে রাস্তাঘাটে এবং বাজারে নজর পড়ে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার। প্রধানের উদ্যোগে এলাকার প্রায় শ তিনেক মহিলাকে নিয়ে, নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জন বিষয়ক সচেতনতা গড়ে তোলেন। শুধু সচেতন করে তোলা নয়, এমন জিনিষ ব্যবহারে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান বোলপুরের বিডিও শমীক পানিগ্রাহী।

Advertisement

শমীকবাবু জানান, মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ভাল কাজ হচ্ছে। মুক্ত জায়গায় শৌচকর্ম কে যে ভাবে আন্দোলনের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তেমনই পরিবেশ বান্ধব বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধান সহ স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্যোগী হয়েছেন। সচেতনতা, সতর্কীকরন কর্মসূচীর পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে ওই গ্রামে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর জেলার ১৬৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল পঞ্চায়েত ঘোষণা হয়েছে। ওই পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে অন্যতম রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েত পরিদর্শনে নামে ব্লক প্রশাসন। এ দিন দুপুর বারোটা নাগাদ বিডিও এবং ব্লকের কর্মীরা ওই গ্রাম পরিদর্শনে যান। চা এবং জল খাবারের দোকানে কাগজের কাপ, শাল পাতা, মাটির ভাঁড় ব্যবহার করা এবং প্লাস্টিক ও থার্মকল ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন ব্লকের বিডিও ও পঞ্চায়েতের প্রধান। কিছু পরে সুপুর মিনি বাজার এবং গ্রামে ঘুরে বাসিন্দাদেরও পরামর্শ দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রধান প্রীতিকণা দাস বলেন, “বিডিও উদ্যোগী হয়েছেন। আমাদের পঞ্চায়েত নির্মল পঞ্চায়েত। প্লাস্টিক মুক্ত গ্রামের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রশাসনের উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে। প্রায় তিনশো মহিলা প্লাস্টিক বর্জন বিষয়ক কর্মসূচিতে এলাকায় সামিল হয়েছেন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন