BDO

খাতায় ছাত্র সংখ্যা বেশি, স্কুলে বিডিও

হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে মিড-ডে মিলে অসঙ্গতি ধরলেন বিডিও। ঘটনাটি হুড়া ব্লকের টাঙিনওয়াদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুড়া শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ০০:৪৫
Share:

স্কুলে বিডিও। নিজস্ব চিত্র

সোমবার এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আচমকা পরিদর্শনে যান বিডিও (হুড়া) শুভায়ু কাশ্যপী। বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের হাজিরার বিষয়টি নজর এড়ায়নি এই প্রশাসনিক কর্তার। বিডিও জানান, নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রতি দিন পড়ুয়াদের হাজিরার সংখ্যা প্রশাসনের কাছে পাঠাতে হয়। নথিতে দেখা গিয়েছে, এই বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দৈনিক মোটামুটি ৯২ থেকে ১০২-এর মধ্যে হাজিরা দেখানো হয়। কিন্তু সোমবার গিয়ে দেখা গিয়েছে, সে দিন পড়ুয়ার হাজিরার সংখ্যা ৬২। তাঁর কথায়, ‘‘হাজিরা খাতা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়া স্কুলে গরহাজির, তাঁদের নামের ঘর ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেখানে অনুপস্থিত থাকলে ইংরেজির ‘এ’ অক্ষর লেখার কথা, তা কিন্তু ছিল না। কেন এমনটা হয়েছে জানতে চাওয়ায় কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।’’

Advertisement

তাঁর আরও দাবি, যেখানে গড়ে ৯০-এর বেশি পড়ুয়া থাকে, সেখানে হঠাৎ এ দিন স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমে কেন ৬২ হয়ে গেল, তাও সন্দেহজনক। বিডিও বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, দীর্ঘ ছুটির পরে স্কুল খুলেছে বলেই হাজিরা কম।’’ অন্য সময়ে যখন ছুটি থাকে, সেই সময়ের খাতা পরীক্ষা করেও দেখা গিয়েছে, হাজিরার সংখ্যা গড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ যে তথ্য পাঠান, তার সঙ্গেই মিল রয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু এই দিনটিতেই।’’

বিডিওর-র দাবি, হাজিরা খাতা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এক রবিবারেও পড়ুয়াদের হাজিরা দেখানো হয়েছে। যদিও এর সদুত্তর তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পাননি বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলে মাছ, ডিম বা কখনও মাংস দেয় বলে দাবি করেন। যদিও পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাদা করে তিনি কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, কবে ওই সব খাবার দেওয়া হয়েছে তারা মনে করতে পারেনি। ওই সমস্ত অসঙ্গতি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন বিডিও। তারপরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা করবেন।

Advertisement

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপকুমার রজকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সহ-শিক্ষক প্রণবকুমার আচার্য বলেন, ‘‘‘টানা ছুটির পরে হয়তো সোমবার হাজিরা কম হয়েছিল। তবে আমি সোমবার স্কুলে যাইনি। তাই কী ঘটেছে, বলতে পারব না।’’ তবে রবিবারে পড়ুয়াদের হাজিরা দেখানোর অভিযোগ তিনি মানতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন