অবৈধ দখলদারদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করে দিল মহকুমা প্রশাসন।
শনিবার এসডিও (রামপুরহাট) উমাশঙ্কর এস জানান, পুরসভাকে এ বিষয়ে একটি তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোকানের পরিমাপ-সহ নম্বর প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘সাংসদ শতাব্দী রায় এবং বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, এলাকা উন্নয়নের তহবিল থেকে দু’জনেই দু’লক্ষ করে মোট চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন। ওই টাকা দিয়ে ডাকবাংলা পাড়া এলাকায় যে সব দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে, তা নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’’ তা ছাড়াও তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ, পুরসভা ও প্রশাসন থেকে বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি পার্কিং, শৌচালয়ও তৈরি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ দিকে, এ দিনই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে উচ্ছেদ হওয়া জায়গাগুলিতে নতুন নির্মাণের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করল মহকুমা প্রশাসন। দুপুরে মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক কার্যালয়ের ভিতরে তারাপীঠ–রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ওই বৈঠক চলে। মহকুমাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত রায়, পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি, উপপুরপ্রধান সুকান্ত সরকার। ছিলেন পুরসভার তিন বিজেপি কাউন্সিলর, দুই কংগ্রেস কাউন্সিলর, সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিকও। এ ছাড়াও বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতেই এ দিন উমাশঙ্করবাবু শহরের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড়ের সঙ্গে যুক্ত দেশবন্ধু রোড, ব্যাঙ্ক রোড, দুমকা রোড, স্টেশন রোডের মতো প্রধান প্রধান সড়কগুলির দু’ধারে কোনও রকম নির্মাণ করা যাবে না বলে সাফ করে দেন। সেই সঙ্গে জে এল ব্যানার্জী রোড, কামারপট্টি থেকে ভাঁড়শালা পাড়া, মহাপ্রভু রোড, ধুলাডাহা রোড— এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দু’ধারে অবৈধ নির্মাণ বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসার আবেদন তিনি রাখেন। শহরের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নতুন নির্মাণ বন্ধের পাশাপাশি ছোটগলি কিংবা অন্যত্র দোকান নির্মাণের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বৈঠক শেষে উমাশঙ্করবাবু বলেন, ‘‘ওই সব স্থানে কেউ ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করতে চাই তাকে দমকল, সহকারি পরিবহণ আধিকারিক এবং ওসি ট্রাফিকের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার পরে পুরসভায় আবেদন করতে হবে। পুরসভা অনুমোদন দিলে বিদ্যুৎ দফতর সমস্ত কাগজ পরীক্ষা করে তবেই ওই দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারবে।’’
এ দিন আরও কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এসডিও। তিনি জানিয়েছেন, দুমকা রোডের উপর ডাকবাংলা মোড় থেকে ঝনঝনিয়া পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে সাইকেল যাওয়ার জন্য আলাদা করে ঘেরা রাস্তা এবং ফুটপাত দিয়ে হাঁটাচলা করার জন্য দু’ দিকে ঘেরা রাস্তা করে দেওয়া হবে। এ দিনের সর্বদলীয় বৈঠকে এসডিও শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য যে সমস্ত পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, তাতে সব দলই সহমত জানিয়েছে।