উড়ল আবির

জয়ের গন্ধ পেতেই মিষ্টিমুখ

বিরোধীদের অভিযোগ, সকালে যাদের মুখ-চোখ, কপাল-মাথা ছিল সাদা কাপড়ে ঢাকা। বেলা গড়াতেই তাদের মাথা, মুখ কপালে ওঠে সবুজ আবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৪১
Share:

সেকেড্ডা পঞ্চায়েতে জয়ের আশায় আগে থেকেই মিষ্টিমুখ তৃণমূল কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র

উড়ল আবির। চলল মিষ্টিমুখ। দল ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জেতার মুখে যে!

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, সকালে যাদের মুখ-চোখ, কপাল-মাথা ছিল সাদা কাপড়ে ঢাকা। বেলা গড়াতেই তাদের মাথা, মুখ কপালে ওঠে সবুজ আবির। সকালে যাদের হাতে ছিল লাঠি, চেলা কাঠ দুপুর তিনটের পরেই তাদের হাত সবুজ আবিরে রঙিন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমার শেষ দিনেও গা-জোয়ারির অভিযোগ উঠল। তাতে বীরভূম জেলা পরিষদের রামপুরহাট মহকুমার ১৮টি আসনের কোনওটিতেই মনোনয়ন জমা পড়ল না। শুধু তাই নয়, রামপুরহাট ১, রামপুরহাট ২, নলহাটি ২, মুরারই ১ ও মুরারই ২ এই চারটি পঞ্চায়েত সমিতি সহ ওই সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা ৪০টি গ্রাম পঞ্চায়েত মনোনয়ন জমার বিচারে অন্তত বিরোধী-শূন্য হল।

২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে রামপুরহাট মহকুমা থেকেই বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে থাকা ১৮টি আসনের মধ্যে বেশির ভাগ ছিল রামপুরহাটে। রামপুরহাট ২, নলহাটি ১, নলহাটি ২ , মুরারই ২— এই চারটি পঞ্চায়েত সমিতি ছিল বিরোধীদের দখলে। অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতও ছিল বিরোধীদের দখলে। পরে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে-পরে রামপুরহাট ২, মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতি বিরোধীদের নিজেদের কব্জায় এনে তৃণমূল ওই দুটি দখল করে। নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতিতেও তৃণমূল অনাস্থা এনে দখল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল বলে অভিযোগ। আইনি জটিলতায় তা কার্যকর হয়নি। একই ভাবে বিরোধীদের দখলে থাকা অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূল দখল করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

এ বারে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শুরুর থেকেই তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদের আসনগুলিতে নির্বাচনের পথে হাঁটতে চায়নি। দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে বিরোধী-শূন্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। রামপুরহাট শহর তৃণমূলের যুব সভাপতি ওয়াশিম আলি ভিক্টর মানছেন, ‘‘দাদার নির্দেশ কার্যকর করেছি।’’ সোমবার কার্যত যুদ্ধ জয়ের পরে তৃণমূল কর্মীরা পরস্পরকে আলিঙ্গন থেকে মিষ্টিমুখে মেতে ওঠেন। কেউ কেউ দোকান থেকে মিষ্টি কিনে এনে কর্মীদের খাওয়ান।

বিরোধী-শূন্য জেলা পরিষদ গড়ার পথে দাঁড়িয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘খুবই আনন্দ হচ্ছে।’’ তিনি দাবি করেন, এক দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যব্যাপী উন্নয়নমূলক কাজ, সেই সঙ্গে জেলার উন্নয়নের কারিগর অনুব্রত মণ্ডলের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন