সদস্য খুঁজতে ৮ হাজার কার্যকর্তা

দল সূত্রে খবর, পুরুলিয়া জেলায় এখন বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমবেশি ৪২ হাজার। তার মধ্যে বেশিরভাগই নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে মিসড্‌ কল দিয়ে সদস্য হয়েছেন। দল সূত্রের খবর, ওই ৪২ হাজার সদস্যের মধ্যে অনেকেরই এখন আর খোঁজ নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ০১:৩০
Share:

খাতায়-কলমে: প্রাক্তন ফব সাংসদ নরহরি মাহাতোর হাতে বিজেপির সদস্য পদের নথি তুলে দিচ্ছেন দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

সময়— পাঁচ সপ্তাহ। লক্ষ্য— চার লক্ষ।

Advertisement

এমনই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামল পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি। এ দিন পুরুলিয়া শহরে হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে এই কর্মসূচিতে প্রথম সদস্যপদ গ্রহণ করেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন সাংসদ নরহরি মাহাতো। বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ দিন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরুলিয়াতে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এরপরে প্রতি বুথে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামবেন দলের সমস্ত স্তরের নেতা-কর্মী।’’

দল সূত্রে খবর, পুরুলিয়া জেলায় এখন বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমবেশি ৪২ হাজার। তার মধ্যে বেশিরভাগই নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে মিসড্‌ কল দিয়ে সদস্য হয়েছেন। দল সূত্রের খবর, ওই ৪২ হাজার সদস্যের মধ্যে অনেকেরই এখন আর খোঁজ নেই। অনেকেই দলের কর্মসূচির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত নন। বরং প্রতি বুথে বহু সংখ্যক কর্মী নতুন ভাবে দলের কাজকর্ম করছেন, যাঁরা আগেরবার সদস্য হননি। তাই দলের সংগঠনকে একটা পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি জরুরি হয়ে পড়েছিল।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের পরে লোকসভা নির্বাচনেও পুরুলিয়ায় বিজেপির চমকপ্রদ ফল হওয়ায় এখন বিজেপিতে যোগ দিতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করছেন দলের জেলা নেতারা। কিন্তু অন্য দল থেকে আসা লোকজনকে সদস্যপদ দেওয়ার আগে বিজেপির নীতি-আর্দশ বুঝিয়েই তাঁদের সদস্য করা হোক, এমনটাই চাইছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। সেই প্রেক্ষিতেই মোবাইলে মিসড্‌ কল দিয়ে সদস্য করার পাশাপাশি বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বুথে- বুথে সদস্য সংগ্রহের দিকে। সেই সময় যাঁরা সদস্যপদ গ্রহণ করছেন, তাঁদের সম্পর্কে বিশদে তথ্য জোগাড় করার কাজটাও সেরে ফেলতে চাইছেন দলের নেতারা।

সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কর্মসূচির রূপরেখা স্থির করতে জেলায় বিজেপির ৪৭টি মণ্ডলে এক দিনের বিশেষ কর্মশালা হয়। আট হাজার কার্যকর্তাকে কী ভাবে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামতে হবে, সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সংযোজকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের জেলা সম্পাদক তথা জয়পুর এলাকার নেতা রবীন সিংহ দেওকে। সহ-সংযোজক হয়েছেন মানবাজারের নেতা সত্যবান মাহাতো। এই দুই নেতা জেলার ৪৭টি মণ্ডলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে দৈনিক যোগাযোগ রেখে কর্মসূচির তদারকি করবেন।

বিজেপি সূত্রের খবর, প্রাথমিক সদস্যের মধ্যে থেকেই সক্রিয় সদস্য খুঁজে নেবে মণ্ডল কমিটিগুলি। বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘দল এখন প্রতি নিয়ত বাড়ছে। সংগঠনকে আরও সুসংহত করার প্রয়োজনেই সদস্য সংগ্রহ অভিযান করে যাঁরা দলের নীতি-আর্দশ মেনে চলতে চাইবেন, তাঁদেরকেই সদস্য করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন