প্রতীকী চিত্র।
এক আদিবাসী যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল রাজনগরে। মঙ্গলবার সকালে রাজনগর ব্লকের চন্দ্রপুর থানা এলাকায় উপর কয়রাবাদ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনউপর কয়রাবাদ গ্রামের রাস্তায় শিবধন সরেন নামে বছর সাঁইত্রিশের এক আদিবাসী যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। শিবধনের বাড়ি নিজুরি গ্রামে। কী ভাবে ওই ঘটনা ঘটল, তা নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্রামবাসীরা দাবি তোলেন, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পুলিশ কুকুর নিয়ে আসতে হবে। ওই দাবি মেনে বর্ধমান থেকে স্নিফার ডগ নিয়ে আসা হয়। যদিও কী ভাবে শিবধনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষক শিবধন সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ নিজুরি গ্রাম থেকে মিনিটদশেক দূরে কয়রাবাদ গ্রামে এক বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফেরেননি। তাঁর পরিজনরা খোঁজ করলেও শিবধনের হদিস মেলেনি। এ দিন সকালে কয়রাবাদ গ্রামেই একটি মেঠো রাস্তায় তাঁর দেহ পড়ে তাকতে দেখা যায়। মৃতদেহের কপালে গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। তা দেখেই খুনের আশঙ্কা ছড়ায়। একই অভিযোগ মৃতের স্ত্রী হীরামণি এবং ভাইপো সুনীল সরেনের। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তের পর খুনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ময়না তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
সুনীল জানান, বন্ধু কানন মুর্মূর বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর কাকা। একটা মোবাইল ফোন কেনার কথা ছিল। কানন জানান, শিবধন গত কাল সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে চলে যান।
এ দিন দুপুরে পুলিশের স্নিফার ডগ শিবধনের মৃতদেহ শোঁকার পর প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে হিরাকুনি মোড়ের কাছে পিচ রাস্তায় গিয়ে থমকে দাঁড়ায়। পুলিশের অনুমান, সেখানে খুন করার পর শিবধনের দেহ গ্রামের মেঠো পথে ফেলে যাওয়া হয়। দেহ ময়না তদন্তের জন্য সিউড়ির হাসপাতালে পাঠায় চন্দ্রপুর থানা।
শিবধনের স্ত্রী হীরামণি বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে ওঁর শত্রুতা ছিল না। তা-ও কে আমার স্বামীকে এ ভাবে মারলো। তিন মেয়েকে নিয়ে আমি কী করবো এ বার!’’