স্বীকৃতি: রাজ্যস্তরের ১৫০০ মিটার দৌড়ে সেরা। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যস্তরের আন্তঃকলেজ অ্যাথলেটিক মিটে ১৫০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতলেন পুরুলিয়ার কাশীপুর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র অমিত মাহাতো। সম্প্রতি কলকাতার সাইতে অনুষ্ঠিত রাজ্যস্তরের এই প্রতিযোগিতায় অমিত ৪.১৭ মিনিট সময় করে এই বিভাগে জেলার জন্য সোনা এনেছেন। গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে জেলাস্তরের কলেজ অ্যাথলেটিক মিটে অমিত এই বিভাগে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন। সেই সুবাদে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ তিনি পান। হুড়ার পালগাঁ গ্রামের নিতান্ত অভাবী পরিবারের এই যুবকের বাবা একটি চালকলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। বাবার আয় ও সামান্য চাষে কোনওরকমে সংসার চলে। অমিতের কথায়, ‘‘আমি জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় ৮০০ মিটারে সোনা ও ১৫০০ মিটারে রুপো জিতেছিলাম। রাজ্যে এই দু’টি ইভেন্টে নেমেছিলাম। ১৫০০ মিটারে স্বর্ণপদক পেয়ে ভাল লাগছে।’’ তিনি জানান, ভাল অনুশীলনের সুযোগ সুবিধা নেই। তাইর ইচ্ছে, আরও ভালওভাবে কোনও প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে তিনি অনুশীলন করতে চান। তাঁর আক্ষেপ, সাংসারে দারিদ্রের জন্য পুষ্টিকর খাবার ঠিক মতো পান না। প্রতিদিন সকালে আলুসেদ্ধ-ভাত খেয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরের কলেজে তাঁকে যাতায়াত করতে হয়। তাতেই সময় চলে যাচ্ছে। অনুশীলনের ফরসৎ পাচ্ছেন না। মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগের শিক্ষক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভাবের সঙ্গে লড়াই করেই অমিতের সাফল্য এনেছে। শনিবার কলেজের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান জানানো হয়।’’ এই প্রতিযোগিতায় জেলা দলের ম্যানেজার শিপ্রা মাহাতো জানিয়েছেন, অমিতের পাশাপাশি আরও দু’টি পদক এসেছে জেলায়। পুরুষদের ১৫০০ মিটারে লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজের হরিপদ মাহাতো ব্রোঞ্জ ও বলরামপুর কলেজের পিঙ্কি হাঁসদা মেয়েদের ১৫০০ মিটারে রুপো, ৮০০ মিটারে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।