বধূর দেহ হাসপাতালে ফেলে চম্পট

এক গৃহবধূকে খুন করে হাসপাতালে মৃতদেহ ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মৌসুমি বাগদি(২৬)। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ময়ূরেশ্বরের বাসুদেবপুরের মৌসুমির সঙ্গে বিয়ে হয় ওই থানারই আকুনি গ্রামের প্রসেনজিৎ বাগদির। দম্পতির একটি বছর খানেকের মেয়েও রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৫ ০০:৪৪
Share:

দেহ আসার পরে থানার সামনে এলাকাবাসীর ভিড়।—নিজস্ব চিত্র

এক গৃহবধূকে খুন করে হাসপাতালে মৃতদেহ ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মৌসুমি বাগদি(২৬)। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ময়ূরেশ্বরের বাসুদেবপুরের মৌসুমির সঙ্গে বিয়ে হয় ওই থানারই আকুনি গ্রামের প্রসেনজিৎ বাগদির। দম্পতির একটি বছর খানেকের মেয়েও রয়েছে।
মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পর থেকেই সম্পর্কিত এক বউদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে মৌসুমির উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাত পেশায় স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকা কর্মী প্রসেনজিৎ এবং তাঁর বাড়ির লোকজন। এমন কি তাদের চাহিদা মতো দু’দুবার মোটর বাইক বিভিন্ন সামগ্রী এবং টাকাও দিতে হয়েছে।’’ মৃতার বাবা অজিত বাগদির অভিযোগ, ‘‘আজ সকালে ওই গ্রামের এক আত্মীয়ের ফোনে খবর পাই মেয়েকে ফের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। গিয়ে দেখি শ্বশুরবাড়িতে তালা ঝুলছে। গ্রামবাসীরা জানান মেয়েকে সাঁইথিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে পৌঁচ্ছতেই দেখি গেটের সামনে পড়ে রয়েছে মেয়ের মৃতদেহ। কেউ কোথাও নেই। আসলে শ্বাসরোধ করে মেরে পুলিশের ভয়ে মৃতদেহ ফেলে রেখে গা ঢাকা দিয়েছে ওরা।’’ পুলিশ জানায়, ‘‘মৃতদেহটি সিউড়ি থেকে বর্ধমানে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁদের খোঁজ চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন