টুকরো খবর

মদ্যপ অবস্থায় শহরে দুই দল যুবকের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি, গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগে তৃণমূলের এক নেতার ছেলে ও তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করল বোলপুর পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরে প্রভাত সরণির এক পানশালার কাছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৪ ০১:৪০
Share:

মদ্যপ অবস্থায় ধৃত চার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর

Advertisement

মদ্যপ অবস্থায় শহরে দুই দল যুবকের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি, গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগে তৃণমূলের এক নেতার ছেলে ও তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করল বোলপুর পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরে প্রভাত সরণির এক পানশালার কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সুদীপ নেওয়াজ খান, নিয়ামত শেখ, সানি আলি মির্জা ও বাবাই খানকে বৃহস্পতিবার থানা থেকে জামিনে ছাড়া হয়েছে। ধৃত সুদীপ নেওয়াজ খান তৃণমূলের প্রাক্তন শহর সভাপতি মুরশেদ নেওয়াজ খানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ বোলপুরের প্রভাত সরণির ওই পানশালার পাশে বচসা বাধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। পরিস্থিতি ঘোরাল হচ্ছে দেখে, সেখান থেকেই পুলিশের কাছে ফোনে সাহায্য চায় কেউ। বোলপুর পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকা থেকে চার যুবককে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত চার যুবকের দাবি, তাঁদেরকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। বহিরাগত কিছু যুবক তাঁদের কাছে তোলা দাবি করায়, পুলিশের সাহায্য চেয়ে ওই ফোন তাঁদেরই কেউ করেছিলেন। ঘটনায় থানায় ধৃতেরা এ দিন জামিনে ছাড়া পান। ওই চার জনের মধ্যে দু’জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ দিকে, এ দিন সকাল থেকে অভিযুক্তদের ছাড়ার দাবিতে, এবং অভিযুক্ত এক পুলিশ-এর বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সমর্থক ও এলাকাবাসীদের একাংশ। সেই মর্মে একটি লিখিতও জমা দেয় তাঁরা। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বোলপুরের এসডিপিও সূর্য প্রতাপ যাদব বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সফরের জন্য জেলার বাইরে আছি। কী হয়েছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

Advertisement

পড়শি বধূকে খুনে যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর

গৃহবধূকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড হল পড়শি ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার বোলপুরের অতিরক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী এই সাজা শুনিয়েছেন। সরকারি পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ সামসুজ্জোহা বলেন, “সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।” ২০০৭ সালের ১২ নভেম্বর ইলামবাজার থানার পাঁচতেতুল গ্রামে গৃহবধূ মানোয়ারা বিবিকে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে প্রতিবেশী ব্যক্তি শেখ আনারুলকে বুধবার বোলপুরের অতিরক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। জানা গিয়েছে, পাঁচতেতুল গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসুলের ভাই শেখ কেরামতের বাড়ির পাশে ওই গ্রামের বাসিন্দা শেখ আনারুল এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা দুপুরে তাস খেলছিল। তার প্রতিবাদ করায় শেখ কেরামতকে মারধর করা হয়। ভাইকে মারধর করা হচ্ছে দেখে দাদা শেখ সামসুল, বৌদি মানোয়ারা বিবি এবং ভাইপো শেখ হালিম ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। ওই সময়ে আক্রোশের বসে শেখ আনারুল একটি শাবল দিয়ে মানোয়ারা বিবির মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় শেখ আনারুল-সহ আট জনের বিরুদ্ধে ইলামবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন নিহতের স্বামী শেখ সামসুল। ময়নাতদন্তকারী চিকিত্‌সক, ঘটনার তদন্তকারী অফিসার নিয়ে মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। এ দিন সাজা ঘোষণা হয়।

গণপিটুনিতে নিহত দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বরাবাজার

এক সম্পন্ন চাষির বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মারা গেল এক দুষ্কৃতী। বছর বাইশের ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। বুধবার রাতে বরাবাজার থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ওই ঘটনায় ডাকাতদের মারে গৃহকর্তা নিজেও আহত হয়েছেন। তাঁকে বরাবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা গয়ারাম মাহাতোর বাড়িতে ডাকাত পড়ে। গয়ারামবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, বাড়ির সামনের দরজার খিল ভেঙে মুখে কাপড় বাঁধা দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাঁকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। তিনি ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিত্‌কার করায় এক দুষ্কৃতী তাঁর গলায় ছুরি ধরে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। গয়রামবাবু বলেন, “ওদের কথায় হিন্দি টান ছিল। বিছানার তলা থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে কিছু টাকাও নেয় তারা।” ইতিমধ্যে চেঁচামেচি শুনে লোকজন গয়ারামবাবুর বাড়িতে চলে আসেন। বেগতিক বুঝে ডাকাতদল পালানোর চেষ্টা করে। পাঁচ জন পালাতে পারলেও এক যুবক দলছাড়া হয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীকে ধরে বেধড়ক পেটানো হয়। রাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা আহত গয়ারামবাবু ও ধরা পড়া ডাকাতকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুষ্কৃতী মারা যায়। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে ঝাড়খণ্ডের সীমানা ২ কিলোমিটার। দলটি ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিল বলে মনে হচ্ছে।”

তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি

সিউড়িতে ভাঙচুরের পরে। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

শাসকদলের একটি দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিউড়ি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। শহরের ওই ওয়ার্ডে থাকা কাঁকারখাদ এলাকার দলীয় কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা শেখ সইফুদ্দিনের অভিযোগ, “দলীয় কর্যালয়ের অদূরে একটি পরিবার মাদক কারবার চালায়। তারই প্রতিবাদ করায় লোকজন জুটিয়ে এ দিন দুপুরে হামলা চালিয়েছে। সিলিং ফ্যান, দরজা এবং চেয়ার ভেঙেছে। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।” যদিও ওই ওয়ার্ডে কোনও পার্টি অফিসই নেই বলে দাবি তৃণমূলের সিউড়ি শহর সভাপতি ও সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ওখানে বসতেন। এ প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য স্বপনবাবুর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

তৃণমূলে যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী

তৃণমূলে যোগ দিলেন সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি। সিপিএমের অজিত রায়। তাঁর সঙ্গেই দলবদল করলেন ওই ব্লকের মানিকবাজার পঞ্চায়েতের দুই সিপিএম সদস্য। বুধবার সন্ধ্যায় মানিকবাজার গ্রামে এক সভায় জেলা তৃণমূল নেতা সুরজিত্‌ মুখোপাধ্যায় ও যুব তৃণমূল নেতা ব্রজ অধিকারীর কাছে তাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। অজিতবাবু বলেন, “রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ।” সুরজিত্‌বাবু বলেন, “ওই নেতাদের সঙ্গে প্রায় ২৫০ জন সিপিএম কর্মী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এতে আমাদের শক্তি আরও বাড়ল।” সিপিএমের সোনামুখী জোনাল কমিটির সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, “অজিতবাবু দীর্ঘদিন পার্টির সদস্যপদ নবীকরণ করাননি। দলীয় কাজেও যোগ দিচ্ছিলেন না। বাকি যাঁরা দল ছেড়েছেন তাঁদের কেউই দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন না। কাজেই তাঁদের দলত্যাগে সিপিএম দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।”

সভা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় বাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া

হুড়ার লালপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে ফেরার পথে একটি বাস রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে উল্টে গেল। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০ এ জাতীয় সড়কের উপর হুড়া থানা এলাকার লধুড়কা গ্রামের অদূরে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিতে প্রায় ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিলেন। তবে কপাল জোড়ে কারও চোট লাগেনি। চালকের তত্‌পরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি ট্রাক্টরকে অতিক্রম করতে গিয়ে বাসটি রাস্তা থেকে নেমে যায়। প্রথমে বাসিন্দারা ও পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার কাজে নামে। বাসটি আড়শার হেটগুগুই গ্রাম থেকে লালপুরের টেলিকম ময়দানের সভায় এসেছিল।

ধর্ষণে কারাদণ্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর

বাড়িতে কাজ করতে ডেকে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার দায়ে বাড়ি মালিককে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। বৃহস্পতিবার বোলপুর আদালতের সহকারী দায়রা বিচারক (অ্যাসিস্ট্যান্ট সেশান জজ) অরুণ রাই দোষীকে তিন বছর কারাদণ্ড ও পনেরো হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী মহম্মদ সামসুজ্জোহা বলেন, “২০০৭ সালের ২১ জুন সন্ধ্যায় ইলামবাজার থানার ধল্লা গ্রামের বাসিন্দা সুনীল দাস এলাকার এক মহিলাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরের দিনই ওই মহিলা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে।”

অস্বাভাবিক মৃত্যু

পৃথক দু’টি ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবতী-সহ দু’জনের। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ময়ূরেশ্বর থানার মাঠমহুল্লা গ্রামের বধূ শিখা মণ্ডলের (২২) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পারিবারিক কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন বলে পুলিশের অনুমান। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অন্য একটি ঘটনায় মুরারই থানার দারিয়াপুর গ্রামের সাবিনা খাতুন (২২) নামে এক যুবতীর বাড়ি থেকে অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই যুবতী কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। দু’টি ঘটনাতেই প্রাথমিক ভাবে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।

সর্পাঘাতে মৃত্যু

পৃথক দুটি ঘটনায় সর্পাঘাতে মৃত্যু হল এক কিশোরী সহ দু’জনের। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের কুমাড্ডা গ্রামে বিছানায় শুয়ে থাকার সময় রাবিয়া খাতুন (১১) নামে এক কিশোরীকে সাপে কাটে। পরে রামপুরহাট হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, একই ভাবে নলহাটির বসন্ত গ্রামের হাফিজুর রহমান (৩২) নামে এক যুবককেরও বুধবার মৃত্যু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন