Birbhum

Gas price hike: গ্যাস ছেড়ে কয়লার উনুনে আঁচ ব্যবসায়ীর

গ্রামাঞ্চলে হোটেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে খাবারের দাম বাড়ানো যায় না। রান্না করা খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়ালে খদ্দের হয় না।

Advertisement

তন্ময় দত্ত 

মুরারই শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ০৬:৫০
Share:

গ্যাস থেকেও নেই। নিজস্ব চিত্র

গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে খাবারের দোকান ও হোটেল ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় পড়েছেন। বহু হোটেলে গ্যাস নয়, কয়লা ও গুলের উনুনে রান্না হচ্ছে। অনেকে তৈরি করে নিয়েছেন মাটির উনুন।

Advertisement

মুরারইয়ের এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘মাস ছয়েক আগেও রান্না হত ১৯ কিলোর বাণিজ্যিক গ্যাসে। যে ভাবে গ্যাসের দাম বাড়ছে তাতে উনুনে রান্না শুরু করে দিয়েছিলাম আমরা আগে থেকেই। গ্রামাঞ্চলে হোটেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে খাবারের দাম বাড়ানো যায় না। রান্না করা খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়ালে খদ্দের হয় না। রান্না করা সামগ্রী নষ্ট হয়। আরও বেশি লোকসানের মুখ দেখতে হয়।’’ হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯ কিলো গ্যাস ২২১০ টাকায় কিনতে হচ্ছিল। আবারও দাম বাড়া এর সঙ্গে বকশিস সব মিলিয়ে অনেক টাকার ধাক্কা। গ্যাস ছাড়াও সর্ষের তেল, পোল্ট্রি ও খাসির মাংস ছাড়াও আনাজের দামও বেড়েই চলেছে। আগে নিরামিষ ভাত ৪০ টাকা ছিল। পাঁচ টাকা বাড়ানোয় অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কোনও উপায় না পেয়ে ৪০ টাকা দাম রেখে ভাতের পরিমাণ কমেছে, লেবু, লঙ্কা ও পেঁয়াজ ফ্রি দেওয়া হত। বন্ধ হয়েছে তাও। গ্যাসের থেকে কয়লা, ঘুঁটে ও গুলের খরচ অনেক কম। কিছুটা হলেও খরচ কম হচ্ছে।

তবে যে সমস্ত হোটেলে উনুন তৈরির জায়গা নেই সেই সব দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা। মুরারইয়ে এই কয়েক দিনে তিনটি বিরিয়ানির দোকান ও একটি হোটেল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘পেট্রল ডিজ়েলের দাম বৃদ্ধির জন্য সকল সামগ্রীর দাম বেড়েছে। তার উপর রান্নার জন্য গ্যাস। অল্প জায়গা ভাড়া নিয়ে বিরিয়ানির দোকান লাভজনক ছিল। কিন্তু, যে ভাবে গ্যাসের দাম বেড়েছে তাতে দোকানের কর্মচারী ও দোকান ভাড়া দিয়ে বিরিয়ানির দোকান চালানো সম্ভব নয়। তাই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।’’

Advertisement

মুরারইয়ের হোটেল মালিক মহম্মদ নাসিরউদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘গ্যাসের দাম যে ভাবে বাড়ছে তাতে গ্যাস ছেড়ে উনুনে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছি। হোটেল ব্যবসা মনে হয় আর বেশি দিন চালাতে পারব না। পোল্ট্রির মাংস ২৫০ টাকা কেজি, ১৫ কিলো সর্ষের তেলের দাম হয়েছে ২৬২০ টাকা, রান্নার জন্য যে মগজদানা ১৬০ টাকায় কিনতাম তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯০ টাকা। অথচ রান্না করা খাবরের দাম বাড়াতে পারছি না। কারণ এই এলাকায় খাবারের দাম বাড়ালে কোনও খদ্দের আসবেন না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন একটু সাধারণ মানুষের কথা ভাবুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন