ভোটার তালিকার সাফল্য জানিয়ে ক্যালেন্ডার প্রকাশ

সিউড়িতে সংবাদমাধ্যমকে ওসি ইলেকশন সৈকত হাজরা এবং মহকুমাশাসক কৌশিক সিংহরা জানালেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতি বছর ৪.১৬ শতাংশ। সেখানে জেলায় মোট ৩.৬২ শতাংশ নতুন নাম সংযুক্ত করে নজির গড়েছে বীরভূম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোটার তালিকা সংশোধন এবং আঠারো উত্তীর্ণ হলেই হবু ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তিকরণ। এটা একটা ধারাবাহিক পদ্ধতি। এই কাজটিকে কত যত্ন নিয়ে করলে সফলতা আসে, বুধবার সিউড়িতে সংশোধিত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিনে ইংরাজি নববর্ষে একটি টেবিল ক্যালেন্ডার প্রকাশের মধ্যে দিয়ে সেটা সামনে নিয়ে এল জেলা প্রশাসন।

Advertisement

সিউড়িতে সংবাদমাধ্যমকে ওসি ইলেকশন সৈকত হাজরা এবং মহকুমাশাসক কৌশিক সিংহরা জানালেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতি বছর ৪.১৬ শতাংশ। সেখানে জেলায় মোট ৩.৬২ শতাংশ নতুন নাম সংযুক্ত করে নজির গড়েছে বীরভূম। কর্তারা দাবি করেছেন, জেলা এগিয়ে রাজ্যের ইপি (ইলেক্ট্ররাল পপুলেশন), জেন্ডার (লিঙ্গ) অনুপাতের যে সূচক তার সাপেক্ষেও। কোন পথে সাফল্যে, সেই চমক রয়েছে ক্যালেন্ডারেই।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর জানুয়ারিতে নতুন সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলা, নাম সংশোধন, বুথ বা কেন্দ্র বদলের আবেদন, সারা বছর ধরেই কাজ হয় ব্লকে ব্লকে। কিন্তু, তা সত্বেও এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা বৈধ ভোটার তালিকায় আসার যোগ্য হয়েও অসেননি। প্রতি বছরের অগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই কাজটাই বিশেষ যত্ন নিয়ে করা হয়। যাকে বলে ‘বিশেষ সংক্ষিপ্ত সংশোধনী’। ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা সংশোধন কেন জরুরি, সেটা মানুষকে বোঝাতে নানা কর্মসূচি নিয়ে থাকে জেলা প্রশাসন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কোথাও ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করিয়ে, কোথাও লোকগানের প্রচার, তো কোথায় গাছ লাগিয়ে প্রচার চলে। ঘোরে ট্যাবলো।

Advertisement

সেই সব প্রচেষ্টা তো ছিলই। এর বাইরেও আঠারো উত্তীর্ণ কলেজ পড়ুয়া, প্রতিবন্ধী এবং হোমের আবাসিকদের নাম তালিকায় নিয়ে আসার জন্য একেবারেই অভিনব উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের সব ভোটারের নাম তালিকায় উঠুক, এ রাজ্য সহ কয়েক’টি রাজ্যে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি একমাস ব্যাপী ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযান শুরু হয়েছিল। সেটা সর্বাত্মক করতে ঝাঁপিয়েছিল গোটা ইলেকশন উইং।

জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, সারা বছর কী পদক্ষেপ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন, মাসভর সেই সবই টেবিল ক্যালেন্ডারে তুলে ধরা হয়েছে। যাতে চলতি বছরে একই কাজ করতে গিয়ে গত বছরের উদ্ভাবনী চেষ্টার কথা মাথায় থাকে। এবং যাঁরা কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সম্মানিত করা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন