প্রাথমিকে ক্ষোভ এ বার বাঁকুড়ায়

সাধারণ পরীক্ষার্থী হিসেবেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কাউন্সেলিং-এর জন্যও ডাকও পেয়েছেন। তবে কাউন্সেলিং-এ এসে তাঁরা জানতে পারছেন সাধারণ হিসেবে নয়, পরীক্ষার আবেদন পত্রে নিজেদের প্যারাটিচার বা পার্শ্বশিক্ষক হিসেবেই তাঁরা উল্লেখ করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:১০
Share:

সাধারণ পরীক্ষার্থী হিসেবেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কাউন্সেলিং-এর জন্যও ডাকও পেয়েছেন। তবে কাউন্সেলিং-এ এসে তাঁরা জানতে পারছেন সাধারণ হিসেবে নয়, পরীক্ষার আবেদন পত্রে নিজেদের প্যারাটিচার বা পার্শ্বশিক্ষক হিসেবেই তাঁরা উল্লেখ করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, কাউন্সেলিং-এ তাঁদের পার্শ্বশিক্ষকতা করার প্রমাণপত্র দেখাতে বলা হয়। তা দেখাতে না পারায় তাঁদের বের করে দেওয়া হয়।

Advertisement

এক আধ জন নয়। বাঁকুড়ায় অন্তত ৬১ জন প্রাথমিক টেট-এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। তাঁরা এই ঘটনার জন্য দায়ী করছেন রাজ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদকে। এই ঘটনার জেরে তাঁরা আদৌ নিয়োগ হতে পারবেন কিনা, তা নিয়েই এখন সংশয়ে রয়েছেন ওই টেট-উত্তীর্ণেরা। তাঁদের মধ্যে অভিজিৎ টিকাদার, শুভজিৎ টিকাদার, সেখ কামরুল আলম-রা বলেন, “আমরা কেউ পার্শ্বশিক্ষক নই। সাধারণ পরীক্ষার্থী হিসেবেই টেট-এ বসে পাশ করেছি। কাউন্সেলিং-এ ডাকও পেয়েছি এসএমএস এবং ই-মেলে। তবে কাউন্সেলিং-এ এসেই জানতে পারছি, আমাদের পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’’ অভিজিৎরা জানিয়েছেন, শনিবার কাউন্সেলিং-এ তাঁদের কাছে পার্শ্বশিক্ষকতা করার প্রমাণপত্র দেখতে চাওয়া হলে তাঁরা কেউই দেখাতে পারেননি। ফলে তাঁদের কাউন্সেলিং হয়নি।

ঘটনাটি নিয়ে বাঁকুড়ার বিদ্যাভবনে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে অভিযোগও জানিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থীদের অনেকে। সোমবার ফের তাঁরা বিদ্যাভবনের সামনে এসে জড়ো হন। দফতরের তরফে সমস্যা সমাধানের তাঁদের কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তার সদুত্তরও মেলেনি ওই দফতরের তরফে। এ ব্যাপারে কথা বলতে চাননি জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) নির্মাল্যকুমার দে। এ দিন দফতরে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন না বলে জানিয়ে দেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

Advertisement

দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, পর্ষদের টেকনিক্যাল গোলমালের জেরে অথবা পরীক্ষার্থীরা আবেদনপত্র ঠিকঠাক পুরণ না করার ফলে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পার্শ্বশিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে বাড়তি কিছু নম্বরও পাওয়া যায়। সেই নম্বর এই পরীক্ষার্থীরা পেয়েছেন কিনা, তা-ও জানা যায়নি। এই অবস্থায় সমস্যার সুরাহা না হলে আন্দোলনে নামবেন বলে জানান পরীক্ষার্থীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন