রাস্তায় পড়ে গাড়ি, নিখোঁজ ব্যবসায়ী

রহস্যজনক ভাবে এক ব্যবসায়ী নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আদ্রায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আদ্রার বাড়ি থেকে রঘুনাথপুরে নিজের রেস্তোরাঁয় যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন বছর সাঁইত্রিশের সুরজিৎ ঘোষ নামের ওই ব্যবসায়ী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আদ্রা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৬ ০১:৫৪
Share:

রহস্যজনক ভাবে এক ব্যবসায়ী নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আদ্রায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আদ্রার বাড়ি থেকে রঘুনাথপুরে নিজের রেস্তোরাঁয় যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন বছর সাঁইত্রিশের সুরজিৎ ঘোষ নামের ওই ব্যবসায়ী। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। শনিবার সকালে আদ্রা-রঘুনাথপুর রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে জয়চণ্ডী গ্রাম যাওয়ার রাস্তার পাশ থেকে তাঁর স্কুটি ও জামা উদ্ধার হওয়ায় রহস্য আরও ঘনিয়েছে। এ দিন দুপুরে সুরজিৎবাবুর পরিবার রঘুনাথপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেছেন। রঘুনাথপুরের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরো ঘটনায় ধোঁয়াশা রয়েছে। তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

আদ্রার পলাশকোলা এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎবাবুদের দীর্ঘদিনের ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা। কয়েক বছর আগে রঘুনাথপুর শহরের মিনি প্লাজাতে তিনি রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন। রঘুনাথপুরের রেস্তোরাঁ মূলত দেখেন সুরজিৎ। তাঁর দাদা স্বরূপ ঘোষ জানান, দু’দিন ধরে অসুস্থ থাকায় ভাই বাড়িতেই ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটু সুস্থ বোধ করায় বাড়ি থেকে রঘুনাথপুরে রেস্তোরাঁয় যাচ্ছেন বলে বেরিয়েছিলেন। স্বরূপবাবু বলেন, ‘‘রাত বাড়লেও ভাই বাড়ি ফিরছেন না দেখে মোবাইলে ফোন করেছিলাম। ফোন বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। ভাইকে খুঁজতে বেরিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়ে জানতে পারি সেখানে সে যায়নি।’’ রাতে সম্ভাব্য কিছু জায়গায় তাঁরা খোঁজ করেন। এ দিন সকালের দিকে তাঁরা জয়চণ্ডী গ্রামে যাওয়ার রাস্তায় সুরজিতের স্কুটি ও জামা পড়ে থাকার খবর পান। খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশও। উদ্ধার করা হয় স্কুটি ও তাঁর জামা।

ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পুরো বিষয়ে পুলিশ যথেষ্ট অন্ধকারে। বস্তুত কী ভাবে ওই যুবক হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে গেল, আর কেনই বা রাস্তার পাশে তাঁর স্কুটি ও জামা পড়ে রয়েছে, প্রশ্নগুলির উত্তর পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে। সুরজিৎবাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় আরও সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘যে জায়গায় স্কুটি ও জামা পড়েছিল সেখানে এমন কোন চিহ্ন মেলেনি যাতে মনে হয় দুষ্কৃতীরা ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে দিয়েছে।’’ একই ভাবে সুরজিৎবাবুর পরিবারও পুরোপুরি অন্ধকারে। স্বরূপবাবু বলেন, ‘‘হঠাৎ করে ভাই কী ভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না আমরা।” এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক বিবাদ বা অন্য কোনও বিষয় সুরজিৎবাবুর অন্তর্ধানের পিছনে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন