অপরাধ দমন আর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রযুক্তিতে ভরসা রাখছে পুলিশ ও প্রশাসন

নিরাপত্তার জন্য ১৬টি ক্যামেরা

রঘুনাথপুর শহরের ব্যাঙ্ক, এটিএম, কলেজ, হাসপাতাল, থানা, আদালত, পুরভবন, বাসস্ট্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে সিসি ক্যামেরায় নজরবন্দি করতে চাইছে মহকুমা পুলিশ ও প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৩১
Share:

নজরে: রঘুনাথপুর থানায় মনিটরে চোখ এসডিও এবং এসডিপিও-র। নিজস্ব চিত্র

নিরাপত্তা বাড়াতে রঘুনাথপুর শহরে এ বার সিসি ক্যামেরা বসানো শুরু হল। প্রথম দফায় শুক্রবার এই শহরে প্রশাসনের উদ্যোগে বসানো হয়েছে ১৬টি সিসি ক্যামেরা। পরের ধাপে আরও ১২টি ক্যামেরা পুলিশের উদ্যোগে বসানো হবে বলে ঠিক হয়েছে।

Advertisement

রঘুনাথপুর শহরের ব্যাঙ্ক, এটিএম, কলেজ, হাসপাতাল, থানা, আদালত, পুরভবন, বাসস্ট্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে সিসি ক্যামেরায় নজরবন্দি করতে চাইছে মহকুমা পুলিশ ও প্রশাসন। তারই প্রথম ধাপে শুক্রবার ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। উদ্বোধন করেন মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) দেবময় চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন এসডিপিও (রঘুনাথপুর) অভিজিৎ চৌধুরী, রঘুনাথপুরের পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। রঘুনাথপুর থানায় তৈরি করা হয়েছে ক্যামেরার মনিটরিং সেল। সেখানে বড় স্ক্রিনে ক্যামেরার চোখে শহরের পথে নজর রাখছে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টাই মনিটরিং সেল থেকে নজর রাখা হচ্ছে।

মূলত নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রোধে, অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য এই সিসি ক্যামেরা উপযোগী ভূমিকা নেবে বলে দাবি করেছেন দেবময়বাবু।

Advertisement

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রঘুনাথপুর পুরশহরকে আরও স্মার্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন ও পুরসভা। প্রশাসন সূত্রের খবর, রঘুনাথপুরে সিসি ক্যামেরা, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা, ফ্রি ওয়াই ফাই জোন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই প্রথম ধাপে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

এসডিও বলেন, ‘‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্প থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রঘুনাথপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড, থানা, আদালত, পুরসভা, বাঁকুড়া মোড়, চেলিয়ামা মোড়-সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে সিসি ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরের ধাপে শহরে আরও ১২টি ক্যামেরা লাগানো হবে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ক্যামেরা লাগানো শুধু সময়ের অপেক্ষা।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি সিসি ক্যামেরা লাগানো গেলে রঘুনাথপুরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিকে নজরবন্দি করা সহজ হবে বলে মনে করছে পুলিশ ও প্রশাসন। পুলিশের দাবি, সিসি ক্যামেরা থাকায় যেমন বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে বাড়তি সাহায্য মিলবে, তেমনিই শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া পুরুলিয়া-বরাকার রাজ্য সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণেরও সুবিধা হবে।

প্রসঙ্গত কয়েকমাস আগেই পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের পাশে একটি মোবাইল ফোনের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তে নেমে সম্প্রতি পুলিশ গ্রেফতার করে এক জনকে। সেই সময়ে ওই এলাকায় সিসি ক্যামেরা থাকলে তদন্তে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেত বলে মত পুলিশের।

রঘুনাথপুর শহরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর এই প্রশাসনিক উদ্যোগকে স্বভাবতই স্বাগত জানিয়েছেন পুরপ্রধান-সহ শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। পুরপ্রধান ভবেশবাবু বলেন, ‘‘সময়ের সাথে সাথে শহরকে আমরা আরও আধুনিক করার উদ্যোগ নিয়েছি। সিসি ক্যামেরা তারই প্রথম ধাপ। সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকায় মহিলাদের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত হবে। শহরে অপরাধমূলক ঘটনার দ্রুত নিস্পত্তি করতে পারবে পুলিশ।”

শহরের বাসিন্দা শিক্ষক কৌশিক সরকার, ব্যবসায়ী সুকুমার মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এতে যেমন পুলিশ, প্রশাসনের সুবিধা হবে, তেমনিই শহরের বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন