Pradhan Mantri Awa Yojana

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লিখতে হবে শহরের বাড়িতে

আগে গ্রামীণ এলাকায় সরকারি আবাস যোজনার ফলকে বাংলা আবাস যোজনা মুছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখার ঘটনা দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP

রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে নাম বদল নিয়ে বিতর্কে ছেদ পড়েনি। তার মধ্যেই এ বার পুর এলাকায় সরকারি আবাস ‘হাউস ফর অল’ বা ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে তৈরি বাড়ির ফলকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর)-সহ নানা বার্তা লেখার নির্দেশ এল।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গত মাসেই প্রতিটি পুরসভায় রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থা (স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি) বা সুডার তরফে এই নির্দেশে এসেছে। সেই নির্দেশ মেনেই দুবরাজপুর পুর এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরেই এ কাজ শুরু হয়েছে। পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, ‘‘যে নির্দেশ এসেছে সেই মতো কাজ হচ্ছে।’’

আগে গ্রামীণ এলাকায় সরকারি আবাস যোজনার ফলকে বাংলা আবাস যোজনা মুছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখার ঘটনা দেখা গিয়েছে। শহরের ‘সবার জন্য বাড়ি’-প্রকল্পে বাড়িতে তা ছিল না বলে অভিযোগ। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরসভায় ক্ষমতাসীন শাসক দল নিজেদের পছন্দের লোকদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে ব্যবসা শুরু করেছে। বিরোধীরা তো বটেই শাসক দলের কাউন্সিলরদেরও একাংশের অভিযোগ, পুর এলাকায় এমন বহু মানুষ আছেন যাঁদের একাধিক পাকা বাড়ি, এমনকি বহুতল থাকা সত্ত্বেও পুরসভার সৌজন্যে বাড়ি পেয়েছেন।

Advertisement

কেউ দোকানঘর, গুদামঘর বা দ্বিতল ভবন গড়েছেন নিয়ম ভেঙে পাওয়া বাড়িতে। নতুন করে ফলক দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায় অযোগ্য হয়েও যাঁরা বাড়ি নিয়েছেন তাঁরা ধরা পড়ার ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি বিরোধীদের। পুরপ্রধান শুধু বলেন, ‘‘নির্দেশ কার্যকর করা হবে।’’

তথ্য বলছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত দুবরাজপুর পুরসভা বাড়ি পেয়েছে ৫১৯৭টি। তারমধ্যে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২০০০টি বাড়ি এসেছে। ২০২১-২২ সালে এসেছে ১১০০টি বাড়ির অনুমোদন। সে বারের অধিকাংশ বাড়ির কাজ শুরুই হয়নি। ফলক লিখতে হচ্ছে মূলত ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তৈরি হওয়া বাড়িগুলিতেই।

জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ হওয়া বাড়ির দেওয়ালে কী লেখা হবে সেটাও বলা আছে। ইংরেজি ও বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখার পাখাপাশি উপভোক্তার নাম, কোন অর্থবর্ষের টাকায় বাড়িটি তৈরি হয়েছে, কত টাকায় তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে কেন্দ্র রাজ্য এবং উপভোক্তাদের অংশ কতটা সবই লিখতে হবে।

গ্রামীণ এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রাপকদের মতো আর্থ-সামাজিক ও জাতিগত সমীক্ষার উপরে ভিত্তি করে অবশ্য শহরে বাড়ি পাওয়ার মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়না। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে শহর অঞ্চলে বসবাসকারী অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল অংশের জন্য বাড়ি দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। কেন্দ্র দেয় দেড় লক্ষ, রাজ্য দেয় এক লক্ষ ৯৩ হাজার। বাকি ২৫ হাজার টাকা প্রকল্পের উপভোক্তাকে দিতে হয়।

কিন্তু জেলার প্রায় প্রতিটি পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই তালিকায় এমন অনেক উপভোক্তা থাকেন যাঁদের নিজের নামে বা পরিবারের সদস্যদের নামে এক বা একাধিক পাকা বাড়ি রয়েছে। তবে এত দিন সেই সব বাড়িতে নীল সাদা রং করা হলেও ফলক লাগানো হত না। এখন সেই কাজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন