Pradhan Mantri Awas Yojana

বরাদ্দ বন্ধ, ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রের দল

শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ হয় সিউড়ি ২ ব্লকের সেকমপুর, কুবিরপুর ও ইমাদপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৪০
Share:

সিউড়ির ২নং ব্লকের কুবিরপুর গ্রামে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা শনিবার সকালে।

বোলপুরে আবাস যোজনার বাড়ি না পাওয়া নিয়ে গ্রামবাসীর অভিযোগ শুনেছিলেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। সিউড়িতে একশো দিনের বকেয়া আটকে রাখা ও আবাসের বরাদ্দ বন্ধ নিয়ে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা।

Advertisement

শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ হয় সিউড়ি ২ ব্লকের সেকমপুর, কুবিরপুর ও ইমাদপুরে। কেন্দ্রীয় সরকার কেন একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ আটকে রেখেছে এবং আবাস যোজনা প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে সেই প্রশ্ন তুলে সরব হন গ্রামবাসী। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার প্রশ্ন করা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা কোনও উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা, তাঁদের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনেননি। তাঁরা কেবল দাবি করেন, কেন টাকা ঢোকেনি, তা ব্লকে গিয়ে খোঁজ নিলে জানা যাবে।

এ দিন সকালে সিউড়ির একটি বেসরকারি হোটেল থেকে বেরিয়ে তাঁরা সিউড়ি ২ ব্লক কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ব্লকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়েই অবিনাশপুর পঞ্চায়েতে ঢোকেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের দুই সদস্য। সেখানেই গ্রামবাসীদের প্রশ্ন করতে গিয়ে নিজেরাই প্রশ্নের মুখে পড়েন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। সেকমপুর গ্রামে ঢোকার মুখেই প্রথম দফা বিক্ষোভের মুখে পড়েন ওই দুই সদস্য।

Advertisement

সেখান থেকে কুবিরপুর ও ইমাদপুর গ্রামে পরিদর্শনে গেলে দুই জায়গাতেই একই রকম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। সেখ কবির হোসেন, সন্তোষ দাস, নন্দরানি হাঁসদাদের অভিযোগ, “ওই দু’জন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি বলেই শুনলাম। তাই তাঁদের কাছে আমাদের বকেয়া একশো দিনের টাকা আর আবাস যোজনার টাকার দাবি জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমাদের কোনও কথাই শুনলেন না, কোনও উত্তরও দিল না।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত আমাদের বলছে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে, আর এরা কোনও কথাই বলছেন না। তাহলে আমরা কার কাছে টাকার কথা বলতে যাব?’’

এ দিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে আবাস যোজনার অধীনে তৈরি হওয়া বাড়িগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন দুই প্রতিনিধি। গ্রামবাসীরা বাড়ি তৈরির টাকা সম্পূর্ণ পেয়েছেন কি না, বাড়িতে শৌচালয় আছে কি না, বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কোনও টাকা দিতে হয়েছে কি না, উজ্জ্বলা গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন কি না, বাড়ি তৈরিতে কত দিন লেগেছে— এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন তাঁরা। সেই সঙ্গে আবাস প্লাসের তালিকায় যাঁদের নাম আছে কিন্তু এখনও বাড়ি তৈরি হয়নি, সেগুলিও দেখানো হয় তাঁদের। সেখানেই এক যুবকের একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় সদস্যরা দাবি করেন, কেন তাঁদের টাকা ঢোকেনি, তার উত্তর ব্লক প্রশাসন কর্তৃপক্ষই দিতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন