জেলায় প্রশাসন রুখল দুই কিশোরীর বিয়ে। বুধবার পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকায় এক কিশোরীর ফোন পেয়ে গ্রামে গিয়ে তার বিয়ে রোখে প্রশাসন ও চাইল্ড লাইন।
জেলা চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে চাইল্ড লাইনের এক কর্মী ওই কিশোরীর ফোন পান। তার অমতে বাড়ির লোকজন বিয়ের আয়োজন করছে বলে ওই কিশোরী জানায়। চাইল্ড লাইনের জেলা কো-অর্ডিনেটর দীপঙ্কর সরকার বলেন, ‘‘বিয়ের দিনক্ষণ সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল। ওই কিশোরী অভিভাবকদের বুঝিয়ে উঠতে পারছিল না। আমরা ঠিক করি বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলব।’’
বুধবার যুগ্ম বিডিও (পুরুলিয়া ১), জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিট ও জেলা চাইল্ড লাইনের কর্মীরা ওই গ্রামে যান। চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের কর্মী অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নাবালিকার বিয়ের কুফল অভিভাবকদের বোঝানো হয়। যুগ্ম বিডিও (পুরুলিয়া ১) বিনয় কিস্কু বলেন, ‘‘ওই কিশোরীর বাবা বাইরে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তিনি বুঝতে পেরে স্ত্রীকে মুচলেকা লিখে দিতে বলেন।’’ পাত্রপক্ষের সঙ্গেও কথা বলে বিয়ে বন্ধ করা হয়।
বোরোর থানা এলাকার এক কিশোরীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল দু’ সপ্তাহ পরে। বুধবার সেই বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করে মানবাজার ২ ব্লক এলাকায় কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক প্রতিনিধি দল। সংস্থার পক্ষ থেকে বিপ্লব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই কিশোরীর বয়স ১৭ বছর ৫ মাস। একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। পাত্রপক্ষ ও কন্যাপক্ষ বিয়ে স্থগিত রাখতে রাজি হয়েছে। সোমবার দুই পক্ষ বিডিও-র সঙ্গে কথা বলবে।’’
বিডিও (মানবাজার ২) তারাশঙ্কর প্রামাণিক জানান, ওই দিন কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নাবালিকরার অভিবাবকদের বোঝানো হবে।