দু’এক মাস নয়। উদ্বোধনের পরে কেটে গিয়েছে দশ মাস। এখনও চালু হল না শিশুদের ‘পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র’।
রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের এই পুষ্টি কেন্দ্রটি রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার একমাত্র কেন্দ্র। ২০১৬ সালের ১ অগস্ট ওই কেন্দ্রটির উদ্বোধন হয়। শূন্য থেকে পাঁচ বছরের জন্য অপুষ্টিজনিত শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য এই কেন্দ্রটিতে ১২টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার জানান, শূন্য থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হলেও কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদের ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেই এই ধরণের কেন্দ্র।
শিশুদের পুষ্টির জন্য এমন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এত দিনেও চালু হল না কেন? স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বরবাবু জানাচ্ছেন, কর্মীর অভাবেই এই অবস্থা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য জেলার অধীন ওই পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রান্নার লোক-সহ চার সহযোগী জেলাস্তর থেকেই করা হবে। এ ছাড়াও এক জন সোশ্যাল ওয়ার্কার এবং স্বাস্থ্যভবন থেকে এক জন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে রান্না করার লোক-সহ তিন সহযোগী এবং সোশ্যাল ওয়ার্কারের নিয়োগ শেষ হয়েছে। কিন্তু সংরক্ষণজনিত সমস্যায় এক জন সহযোগী এবং স্বাস্থ্যভবন থেকে পুষ্টি বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করা হয়নি।
রয়েছে অন্য সমস্যাও। এখন রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে যেখানে পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়া হয়েছে, সেখানে আগে ছিল রোগীর পরিজনদের রাত্রিবাসের জায়গা। সাংসদ রামচন্দ্র ডোমের সংসদ তহবিলের টাকায় ওই তৈরি হয়েছিল। বছরখানেক আগেই সেটি সংস্কার করে এই পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে পরিজনদের রাতে থাকার জায়গাও আর নেই!
জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা দূর হবে। সূত্রের খবর, রাতের বেলায় হাসপাতালে আত্মীয় পরিজনদের থাকার জন্য নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাব জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও আর্থিক অনুমোদন মেলেনি।