বিদ্যুৎ বিল মেটানোর যন্ত্র সর্বত্র চালুর দাবি

হাতেহাতে বিদ্যুতের বিল মেটানোর বদলে কিছু জায়গায় স্বয়ংক্রিয় মেশিনে (ক্যাশ কালেকশন কিয়স্ক) টাকা জমা করার ব্যবস্থা চালু করছে বিদ্যুৎ দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৫
Share:

হাতেহাতে বিদ্যুতের বিল মেটানোর বদলে কিছু জায়গায় স্বয়ংক্রিয় মেশিনে (ক্যাশ কালেকশন কিয়স্ক) টাকা জমা করার ব্যবস্থা চালু করছে বিদ্যুৎ দফতর। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া শহরের পাটপুর ও স্কুলডাঙায় বিদ্যুৎ দফতরের কালেকশন সেন্টার-সহ খাতড়া, বিষ্ণুপুর, সোনামুখী ও কোতুলপুরেও বিদ্যুৎ বিল জমা নেওয়ার ওই মেশিন চালু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ওন্দা ও গঙ্গাজলঘাটিতে বিদ্যুৎ দফতরেও ওই যন্ত্র চালু হয়েছে। এতে গ্রাহকদের হাতেহাতে বিল মেটানোর জন্য লম্বা লাইন দেওয়ার হয়রানি কমেছে। সময়ও বেঁচেছে। কিন্তু এখনও বাঁকুড়া জেলার সর্বত্র ওই যন্ত্র চালু হয়নি। আর তা নিয়েই ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের একাংশ।

Advertisement

জেলা বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যন্ত্রের মাধ্যমে সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত টাকা জমা করা যাচ্ছে। ছুটির দিনেও ওই মেশিনে টাকা জমা করা যাচ্ছে। এতে গ্রাহকদের হয়রানি যেমন কমেছে, তেমনই হাতে-হাতে বিলের টাকা জমা করার কাউন্টারে ভিড়ও কমছে।

সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির (অ্যাবেকা) বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক স্বপন নাগের কথায়, “বিল নেওয়ার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রগুলি সব ব্লকেই বসানো দরকার। তাছাড়া বিদ্যুৎ দফতরের ক্যা, কালেকশন সেন্টার বাড়ানোরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বিভিন্ন ব্লকে।” তিনি জানান, ওন্দা ব্লকের পুনিশোল এলাকার গ্রাহকদের অন্তত ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পার হয়ে ওন্দা ব্লক সদরে গিয়ে বিদ্যুতের বিল জমা দিতে হয়। তার উপর টাকা জমা করার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়। তালড্যাংরা ব্লকেও বিদ্যুতের বিল জমা নেওয়া হয় কেবল ব্লক সদরের বিদ্যুৎ অফিসে। অবিলম্বে গ্রাহকদের সমস্যা কাটাতে জেলা বিদ্যুৎ দফতর যাতে সমস্ত ব্লকেই ওই মেশিন বসায় সেই দাবি তুলেছেন তিনি।

Advertisement

বিদ্যুৎ দফতরের বাঁকুড়া রিজিওনাল ম্যানেজার চন্দ্রশেখর সেনগুপ্ত অবশ্য ধাপে ধাপে জেলার সব ব্লকেই বিল মেটানোর স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বিদ্যুৎ পরিষেবার মান বাড়াতে ওন্দার রামসাগর, রাইপুরের বারিকুল, ছাতনার কমলপুর ও বাঁকুড়া ২ ব্লকের পাত্রডাঙা এলাকাতে একটি করে সাবস্টেশন গড়া হবে। চন্দ্রশেখরবাবুর কথায়, “ওই সব এলাকায় লো ভোল্টেজের সমস্যা ছিল। সাবস্টেশন চালু হলে সেই সমস্যা মিটে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন