দ্বন্দ্ব মেটাতে শ্যাম, তুষারকে ডেকে পাঠানো হল কলকাতায়

গত বিধানসভা ভোটে বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বর্তমান পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে এসে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তার পরেই শ্যামবাবু এবং তুষারবাবুর দ্বন্দ্বের জেরে ঝামেলা চলে আসছে তালড্যাংরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

শ্যাম-তুষার দ্বন্দ্ব মেটাতে দু’জনকে একসঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার পর্যবেক্ষক অভিষেকের দফতর থেকে ফোন করে শ্যামবাবু এবং তুষারবাবু-সহ জেলা নেতাদের আগামী বুধবার কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খান বলেন, ‘‘বুধবার জেলায় দলের একটি বৈঠক রয়েছে। সেটা সেরে কলকাতায় যাব।’’

গত বিধানসভা ভোটে বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বর্তমান পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে এসে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তার পরেই শ্যামবাবু এবং তুষারবাবুর দ্বন্দ্বের জেরে ঝামেলা চলে আসছে তালড্যাংরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে।

Advertisement

সোমবার আম়়ড্যাংরায় তুষারবাবুর মিছিলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গণ্ডগোল বাধে। ওই ঘটনায় শ্যামবাবুর বেশ কিছু অনুগামী ঘরছাড়া ছিলেন। বুধবার ঢ্যামনামারা গ্রামের সেই ঘরছাড়াদেরই এক জন, জান মহম্মদ মল্লিক (২৮) খুন হন। নিহতের দাদা জালালুদ্দিন মল্লিকের অভিযোগ, তুষারবাবুর অনুগামীরাই তাঁর ভাইকে খুন করেছে। রাতেই জালালুদ্দিন তালড্যাংরা থানায় ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই এলাকারই ছ’জনকে আটক করে। রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছ’জনই তুষারবাবুর অনুগামী।

ওই ঘটনার পরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দলের জেলা নেতৃত্বের অক্ষমতা নিয়ে রাজ্যস্তরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রাজ্যের এক নেতা বলেন, ‘‘বাঁকু়ড়ায় বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও সমস্যা মেটেনি। তাই এ বারে রাজ্য নেতৃত্বই হস্তক্ষেপ করছে।’’

এ দিকে খুনের ঘটনার পরের দিনেও ঢ্যামনামারা এলাকায় থমথমে ভাব রয়েছে। এ দিন শ্যামবাবু গিয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় শান্তি ফেরাতে দলীয় নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ করে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।’’

তুষারবাবু বলেন, ‘‘আমি আগেও ওই এলাকায় সমস্যা মেটাতে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে আমি মনে করি।’’

বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন