Water Project Scheme

জাইকার জলপ্রকল্পে দেরি, বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী

‘জাইকা’ প্রকল্প নিয়ে কথা বলার সময়ে স্পষ্টতই বিরক্ত দেখিয়েছে তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জাইকা প্রকল্প একটু সময় নিচ্ছে। ওটা জাপানের প্রকল্প। ২০২৫-এর মে পর্যন্ত সময় নিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৭
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

জলাভাবের জেলা পুরুলিয়ায় ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প নিয়ে সন্তোষ জানালেও ‘জাইকা’ প্রকল্পের বিলম্ব নিয়ে অখুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার প্রশাসনিক সভা থেকে প্রকল্পের কাজ নিয়ে সরব হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জলস্বপ্ন প্রকল্পে জেলায় ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছেছে। আজও তিন হাজার কোটি টাকার জলপ্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে।”

Advertisement

তবে ‘জাইকা’ প্রকল্প নিয়ে কথা বলার সময়ে স্পষ্টতই বিরক্ত দেখিয়েছে তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জাইকা প্রকল্প একটু সময় নিচ্ছে। ওটা জাপানের প্রকল্প। ২০২৫-এর মে পর্যন্ত সময় নিয়েছে। কিন্তু দশ-বারো বছর ধরে দেখছি। এত সময় নিলে কিন্তু কাজ করা যাবে না। এর পরে জনগণ সম্পর্কিত কোনও প্রকল্প নিতে গেলে আমাদের দশ
বার ভাবতে হবে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুকুটমণিপুর জলাধারই ‘জাইকা’ প্রকল্পের উৎস। জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশের পাঁচটি ব্লক ওই প্রকল্প থেকে পানীয় জল পাবে। মানবাজার ১, পুঞ্চা, বরাবাজার ও পুরুলিয়া ১ (আংশিক) ও গোটা আড়শা ব্লকে প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। ৯২০২৭টি পরিবারে ওই প্রকল্পের মাধ্যমে নলবাহিত জল পৌঁছবে। এর পাশাপাশি, পুরুলিয়া পুরসভাও ওই প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ১২.৯২ মিলিয়ন লিটার জল পাবে।

Advertisement

২০১৯ সালের গোড়ার দিকে প্রকল্পের অনুমোদন মিললেও প্রথমে করোনার জেরে এবং পরে দরপত্র আহ্বান ও প্রকল্পের নকশা তৈরি ইত্যাদির কারণে কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ১২৯৬.২৫ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জাইকা প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন