কাশীপুর ও হুড়ায় ফের মনোনয়নে শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন মনোনয়নের বাড়তি একটা দিন দিলেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাধায় তারা সুবিধা করতে পারলেন বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলের নেতারা।
বিজেপির অভিযোগ, রঘুনাথপুরে তাঁদের দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়। সিপিএমেরও অভিযোগ, কাশীপুরে ব্লক অফিসেও তাঁদের দলের প্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কাশীপুরের তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া দাবি করেন, ‘‘কাশীপুরে কাউকেই মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়নি। মারধরও করা হয়নি। প্রার্থী না পেয়ে বিরোধীরা এই সব মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
কিছু দিন আগে এই কাশীপুর ব্লক অফিসের কিছুটা দূরেই মনোনয়ন দিতে যাওয়া সিপিএম কর্মীদের উপরে তৃণমূলের লোকেদের মারে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বাসুদেব আচারিয়া-সহ কয়েকজন গুরুতর জখম হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ দিন দলের প্রার্থীদের নিয়ে গ্রামঞ্চলের বাম নেতা-কর্মীরা কাশীপুর ব্লক অফিসে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ ব্লক অফিসের ঢের আগেই তাঁদের আটকে ফিরিয়ে দেন তৃণমূলের লোকজন। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের কর্মীরা তাঁদের প্রার্থীদের আটকে হুমকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই পুলিশকে ফোন করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আর্জি তাঁরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি।
অন্য দিকে, বিজেপির অভিযোগ, হদলদা-উপড়রা ও বড়রা অঞ্চলের কর্মীরা প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে ব্লক অফিসে যাওয়ার সময়ে রাস্তাতেই তৃণমূলের লোকজন তাঁদের আটকে দিয়ে কয়েকজনকে থাপ্পড় মেরে ফিরিয়ে দেয়। বিজেপির জেল সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কাশীপুরে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। অনেকেই মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। পুরো ঘটনা আমরা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।”
কাশীপুরে বিজেপি ও সিপিএমের অভিযোগ পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়। তিনি বলেন, ‘‘কাশীপুরে মনোনয়ন জমা করতে পারছে না বিজেপি ও সিপিএম। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ব্লক থেকে পাওয়া রিপোর্টে আমরা দেখেছি কাশীপুরে এ দিন বিজেপি ও সিপিএমের দু’জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেছেন।”