মার বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে

দিলীপবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাদের প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। তা দেখে আমি প্রতিবাদ করলে আমার উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুড়া শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৩৭
Share:

লক্ষ্মীকান্ত মাহাতো। নিজস্ব চিত্র

মনোনয়নের দ্বিতীয় দিনে তেতে উঠল হুড়া। মঙ্গলবার হুড়া ব্লক অফিসের ঠিক বাইরে বিজেপি-র পঞ্চায়েত প্রার্থীর স্বামীকে মারধর করে নাক, মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার আগে বিজেপি-র আর এক কর্মীকেও মারধরের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের দাবি, দু’টি ঘটনাই ঘটেছে পুলিশের সামনে। এমনকী পরে পুলিশ তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা।

Advertisement

পুরুলিয়াতে মনোনয়নের প্রথম দিনে সোমবার শাসক বা বিরোধী কোন পক্ষই মনোনয়ন জমা দেয়নি। ফলে দিনটা ঠান্ডাই গিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ হুড়া ব্লক অফিসের ঠিক বাইরেই গণ্ডগোল বাধে। বিজেপি-র দাবি, এলাকার নেতা দিলীপ মাহাতো বড়গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী গণেশ দাঁকে নিয়ে ব্লকে যান। তাঁরা নির্বাচনের নথি নিয়ে বাইরে বেরোতেই গণেশবাবুকে তৃণমূলের লোকজন আড়ালে ডেকে নিয়ে যান। ভোটে দাঁড়ানো যাবে না বলে তাঁরা হুমকি দেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে দিলীপবাবুকে মারধর করা হয়।

দিলীপবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাদের প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। তা দেখে আমি প্রতিবাদ করলে আমার উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে। নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য ব্লক থেকে নেওয়া নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেয় ওরা। আমাকে মারধর করে। কোনও রকমে দু’জনে পালিয়ে বেঁচেছি।’’

Advertisement

এর কিছু পরেই কেশরগড় পঞ্চায়েতের দাপাং গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি-র প্রার্থী পুষ্প মাহাতোর স্বামী লক্ষ্মীকান্ত মাহাতোকে ব্লক অফিসের ঠিক বাইরেই মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। লক্ষ্মীকান্তবাবুর অভিযোগ, ‘‘স্ত্রী এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ব্লক অফিসে নথিপত্র নিতে গিয়েছিলাম। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ গাড়িতে ব্লক অফিস থেকে বেরোতেই তৃণমূলের লোকজন গাড়ি আটকে দেয়। কেন বিজেপি-র হয়ে স্ত্রী মনোনয়ন তুলছে, ভোটে দাঁড়ানো যাবে না, বলে হুমকি দেয় তারা। এরপরেই গাড়ির ভিতরে চড়াও হয়ে রড, লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করে।’’ তিনি জানান, মারের আঘাতে তাঁর নাকের নিচের কিছুটা কেটে যায়। নির্বাচনের নথিপত্রও ছিড়ে দেওয়া হয়।

বিজেপি-র স্থানীয় মণ্ডল কমিটির সভাপতি অসিত মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘পুলিশের সামনেই মারধর চলল। পরে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হল না!’’

বিজেপি-র জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ জন্য অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। পুলিশ অভিযোগ না নিলে শেষে আদালতে যাব।’’

অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ মাহাতো দাবি করেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে বিজেপি। তাঁদের কোনও কর্মীরা মারধর করা হয়নি।”

হুড়ার বিডিও শুভায়ু কাশ্যপী বলেন, ‘‘মনোনয়ন নিতে আসা কোনও দলীয় প্রার্থী বা কর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে বলে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে নিরাপত্তা বাড়াব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন