মাধ্যমিকের প্রথম দিনের প্রশ্নপত্রের ‘কপি’ পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে চলে আসার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার ছিল বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হয় দুপুর ১২টায়। শেষ হয় তিনটেয়। বীরভূমের কিছু এলাকায় দেড়টার দিকেই হোয়াটস্অ্যাপে প্রশ্নপত্র ঘুরতে দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে নানা প্রশ্ন, সংশয় তৈরি হলেও মাধ্যমিকের বীরভূম জেলা কনভেনর প্রলয় নায়েক জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই। পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবেই হয়েছে।’’
প্রশ্ন-বিভ্রাট ছাড়া জেলার ১৩৯টি মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রথম দিনের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হয়েছে। সন্ধ্যায় পর্ষদ থেকে নতুন করে প্রথম দিনের পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ফেরে।
প্রলয় নায়েক জানান, নানুরের বেলুটি এমএনএম হাইস্কুলে এক দৃষ্টিহীন ছাত্রী রাইটার না থাকার জন্য সমস্যায় পড়ে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হস্তক্ষেপে এক জন রাইটারের ব্যবস্থা করা হয়। তবে ওই ছাত্রীকে স্থায়ী ভাবে রাইটার দেওয়ার জন্য আজ পরীক্ষা শেষের পরে সমস্ত কাগজপত্র এসআই-এর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
‘‘পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলে ওই ছাত্রী রাইটার যাতে পায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে’’— বলছেন প্রলয় নায়েক জানান।
পরীক্ষা শুরুর আগে রামপুরহাট হাইস্কুলে রামপুরহাট থানার পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের গোলাপ এবং পেন দেওয়া হয়। মুরারই থানার পুলিশ পরীক্ষার্থীদের জলের বোতল বিলি করে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নলহাটি থানার তেজহাটি যশবন্ত হাইস্কুলের এক ছাত্রী অসুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দেয়।