এই বাক্স ঘিরেই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র
দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল পুরুলিয়ায়। তার জেরে বাতিল হল গোটা প্রক্রিয়াটাই।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দফতরের মুদ্রণ সম্পর্কিত কিছু কাজের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। তাতে বিভিন্ন ফর্ম, জননী সুরক্ষা যোজনার কার্ড, বিভিন্ন প্রচারপত্র, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র, ফ্লেক্স প্রিন্টিংয়ের কাজের জন্যই দরপত্র চাওয়া হয়েছিল। মূলত ছাপাখানার মালিকেরাই এই কাজের দরপত্র জমা দেন। শহরের এক ছাপাখানার মালিককে দরপত্র জমা দিতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় বিপত্তি।
কেন?
অভিযোগকারী প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘অন্য ছাপাখানার লোকেরা বাধা দেওয়ায় সময়ে ওই দরপত্র জমা দিতে পারিনি।’’ তাতে সায় দিয়েছেন দরপত্র জমা দিতে আসা অন্য ছাপাখানার লোকেদের একাংশও। এঁদেরই এক জনের আবার দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের দরপত্র আহ্বানের বিষয়টিই গোলমালের। প্রথমে ১৩ জুলাই শেষ দিন বলে জানানো হয়েছিল। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৯ জুলাই করা হয়! ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য এক জনের আবার দাবি, প্রবীরবাবুই দেরিতে এসেছিলেন।
প্রবীরবাবু এমনটা মানতে চাননি। তিনি বারোটার আগে এসেছিলেন বলেই দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমি কাজের অর্ডার পাই না পাই সেটা অন্য প্রশ্ন। অন্য ছাপাখানার মালিকরা দরপত্র জমা দিতে বাধা দেবেন কেন?’’ তিনি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে মৌখিক ভাবে অভিযোগও জানিয়েছেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিল দত্ত বলেন, ‘‘যাঁরা দরপত্র জমা দিতে এসেছিলেন তাঁদের নিজেদের মধ্যে গোলমালে এক জন দরপত্র জমা দিতে পারেননি বলে শুনেছি।’’
দরপত্র জমা দেবার সময়সীমা বাড়ানোর প্রসঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরে জবাব, যাতে সকলেই দরপত্র জমা দিতে পারেন, তাই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। এ দিনের গোলমালের জেরে জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার পরে দরপত্রের গোটা প্রক্রিয়াটাই আপাতত বাতিল করা হয়েছে বলে অনিলবাবু জানিয়েছেন।