বিবাদে বন্ধ সংস্কার, চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

দরপত্র ডেকে কাজের বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে মাস ছয়েক আগে। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। দ্রুত রাস্তা তৈরির দাবিতে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাশীপুর শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৮
Share:

দরপত্র ডেকে কাজের বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে মাস ছয়েক আগে। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। দ্রুত রাস্তা তৈরির দাবিতে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সম্প্রতি পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের দইকেয়ারি গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে একটি গণস্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পরেই পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকেরা রাস্তাটি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তবে কাজ এখনও শুরু হয়নি।

Advertisement

আদ্রা কাশীপুর সড়কের পাশে বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে থেকে দইকেয়ারি গ্রাম হয়ে চাকলতা পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘ সময় ধরেই বেহাল হয়ে রয়েছে। কাশীপুর ব্লক সদর থেকে থানার পাশ দিয়ে যে কাঁচা রাস্তাটি দইকেয়ারি গ্রামে গিয়েছে, সেটিরও একই দশা। ফলে যাতায়াতের সময় বিপাকে পড়েন বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’টি রাস্তা পাকা করার জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের তহবিল থেকে দু’টি রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল গত বছর। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে দরপত্র আহ্বান করে কাজের বরাত দেওয়া হয়। তার বিশদ বিবরণ দিয়ে বোর্ডও লাগানো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বর্ষায় রাস্তা আরও খারাপ হয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

কিন্তু বরাত পাওয়ার ছ’ মাস পরেও কেন কাজ শুরু হল না? বরারপ্রাপ্ত ঠিকাদার সমীর মণ্ডলের দাবি, রাস্তা তৈরির প্রাথমিক কাজ তাঁরা শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় কিছু বাসিন্দা রাস্তার মধ্যে তাঁদের রায়তি সম্পত্তি পড়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন। সেই নিয়ে বিবাদের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সমস্ত মিটিয়ে ফের কাজ শুরু করতে করতে বর্ষা এসে যাওয়ায় মাটি খোঁড়ার কাজ আর করা যায়নি বলে তাঁর দাবি। সমীরবাবু জানান, বৃষ্টি থামতেই জমিতে দাগ দেওয়া এবং প্রাথমিক পর্যায়ের অন্য কাজগুলি শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের পুরুলিয়া আঞ্চলিক বিভাগের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার সৌমেন গায়েন বলেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যার জেরে কাশীপুরের ওই রাস্তা দু’টির কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বলা হয়েছে সমস্যা মিটিয়ে দু’মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলতে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন