দুবরাজপুরে ধর্মসভা, বার্তা সহিষ্ণুতারই

গুরুর নামে ৫৭ বছর আগে ওই মেলার সূচনা করেছিলেন স্বামী সত্যানন্দদেব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেলার সূচনা হয় সর্বধর্ম প্রার্থনাসভায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৩৪
Share:

একমনে: দুবরাজপুরের অভেনন্দমেলায়। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

মত অনেক হতে পারে, পথ একটাই। আত্মার বিকাশ সাধনই ধর্মের মূল কথা— বুধবার সকালে দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমে আয়োজিত সাধু-সমাবেশ ও ধর্মসভায় এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যের বিভিন্ন মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা।

Advertisement

মঙ্গলবার থেকে দুবরাজপুরে শুরু হয়েছে রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালিত ৭ দিনের অভেদানন্দ মেলা। শ্রীরামকৃষ্ণের দ্বাদশ শিষ্যের এক জন ছিলেন স্বামী অভেদানন্দ। দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের স্বামীজিরা জানান, বেদান্ত নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ যে বার্তা পাশ্চাত্য সমাজকে দিয়েছিলেন। ২৫ বছর আমেরিকায় থেকে সেই কাজই করে গিয়েছেন অভেদানন্দ। তাঁর শিষ্য ছিলেন স্বামী সত্যানন্দদেব। তিনিই ছিলেন দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা।

গুরুর নামে ৫৭ বছর আগে ওই মেলার সূচনা করেছিলেন স্বামী সত্যানন্দদেব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেলার সূচনা হয় সর্বধর্ম প্রার্থনাসভায়। গীতা, কোরান, বাইবেল, রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ করা হয়। বুধবার সকালে ছিল সাধু-সমাবেশ। দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শীর্ষ-সেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ বলেন,
‘‘সত্যানন্দদেব চাইতেন, সন্ন্যাসীরা এক ছাতারনীচে আসুক। মতবিনিময় করুক। তার পর ধর্মের নির্যাস মানুষের কাছে পৌঁছে দিক।’’ তিনি জানান, এ নিয়ে তিন বছর ওই সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘এখন ধর্ম নিয়ে অসহিষ্ণুতা ছড়িয়েছে। ধর্মের নির্যাস সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তা-ই অপরিসীম।’’

Advertisement

এ দিনের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বেদন্ত মঠে শ্রীমৎ স্বামী আত্মবোধানন্দ, বেলুড় রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিররের অতিথি অধ্যাপক স্বামী স্যানময়ানন্দ, তরাপীঠ রামকৃষ্ণহামণ্ডলের শ্রীমৎ স্বামী হংসানন্দ, আকালিপুর রামকৃষ্ণ সারদা সেবাশ্রমের শ্রীমৎ স্বামী বাগীশানন্দ। স্বামী বিবেকানন্দের বাণী উদ্ধৃত করে স্বামী স্যানময়ানন্দ বলেন, ‘‘আত্মা ঘুমিয়ে রয়েছে। তাকে জাগাতে হবে কর্ম, ভক্তি, দার্শনিক জ্ঞানবিচার বা মনসংযোগ দিয়ে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন