জোটের হয়ে ভোট করার ‘অপরাধে’ এক কংগ্রেস নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। মারধরের পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর বাড়িতে লুঠপাটের অভিযোগও তুলেছেন আক্রান্ত ওই কংগ্রেস নেতা। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ লাভপুরের নবগ্রামের ঘটনা। অভিযোগে নাম রয়েছে স্থানীয় বিধায়কের দাদা আনারুল ইসলামের। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মারধরের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নবগ্রামেই বাড়ি কংগ্রেসের ব্লক কার্যকরী সভাপতি নিসবাউদ্দিন মিয়াঁ ওরফে মিছরির। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিধানসভায় জোটের হয়ে ভোট করায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে বেশ কিছু দিন ধরেই হুমকি দিচ্ছিল। আমি পাত্তা দিইনি। কিন্তু, এ দিন আমি যখন স্থানীয় শ্যাওড়াগড়ের মোড়ে দুধ আনতে যাই, তখন তৃণমূলের লোকেরা আমার উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে। পরে আমি এবং আমার ভাইপো যখন লাভপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যাই, তখন আনারুল ইসলামের নির্দেশে তৃণমূলের লোকেরা আমার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে রাষ্ট্রপতি-পুত্র তথা সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে অভিযোগ নিয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আনারুল এবং মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ দিন তাঁরা ফোন ধরেনি। জবাব দেননি এসএমএসেরও। অন্য দিকে, স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান নবগ্রামের প্রসঙ্গ তুলতেই ফোন কেটে দেন। তবে, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে প্রচার পেতেই ওরা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। আমাদের কর্মীদেরই মারধর করা হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, উভয় পক্ষই মারধর এবং লুঠপাটের অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।