পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সংসদ এলাকায় ঢালাই রাস্তা, গার্ডওয়াল, নিকাশি নালা তৈরির উপকরণ জুগিয়েও টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুললেন ঠিকাদারেরা। তাঁদের অভিযোগ, গত এক বছরে পঞ্চায়েত থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনা হয়েছে। মুরারই থানার নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বকেয়া দ্রুত মেটানোর জন্য ঠিকাদাররা রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন। শুক্রবার ঠিকাদারদের একাংশ, পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস।
মহকুমাশাসক জানান, সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে পঞ্চায়েতের প্রধান, নির্মাণ সহায়ক-সহ সাত জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। একশো দিনের প্রকল্পে কোন কোন কাজের জন্য ঠিকাদাররা টাকা পাবেন, সেটা সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মহকুমাশাসক। ঠিকাদারদের পক্ষে রবিউল হক জানান, নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতে ৮৭টি কাজে ২১ জন ঠিকাদার এক বছর হল টাকা পাচ্ছেন না।
এ দিকে, দুর্নীতিগ্রস্ত পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের প্রধান সালমা সুলতানা, নির্মাণ সহায়ক মনতোষ সরকার, পঞ্চায়েত কর্মীদের কেন গ্রেফতার করা হল না, সে প্রশ্নেও এলাকায় অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকাতেও অনেকে ক্ষুব্ধ। পঞ্চায়েতেরই একটি সূত্রের খবর, টাকা নিয়ে গোলমালে শিকেয় উঠেছে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন। তা মেনেও নিয়েছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পান্না সেন। তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েতে কাজ করতে চরম অসুবিধা হচ্ছে। দিন পাঁচেক আগে এক জন নির্মাণ সহায়ক কাজে যোগ দিয়েছেন। দেখা যাক কী হয়।’’