ময়ূরেশ্বরে ফের নিশানায় ঠিকাদার

নিম্নমানের রসদ, আটক ট্রাক

ওজনে কম নিম্নমানের চাল-ডাল সরবরাহের অভিযোগে রাতভর ঠিকাদারের ট্রাক আটকে ফের বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শনিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা ঘটেছে ময়ূরেশ্বরের সোঁজ বাগানপাড়া ১৮৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৭
Share:

ওজনে কম নিম্নমানের চাল-ডাল সরবরাহের অভিযোগে রাতভর ঠিকাদারের ট্রাক আটকে ফের বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শনিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা ঘটেছে ময়ূরেশ্বরের সোঁজ বাগানপাড়া ১৮৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রে বেশ কয়েক মাস ধরে রাতের অন্ধকারে নিম্নমানের চাল ও ডাল সরবরাহের অভিযোগ ছিল গ্রামবাসীদের। প্রশাসন এবং কেন্দ্রের কর্মীদের জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সেই জন্য শনিবার সন্ধ্যায় ওই কেন্দ্রে ঠিকাদারের ট্রাক পৌঁছতেই ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। রবিবার সরকারি দফতর ছুটি থাকায় পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে ট্রাকে মজুত সামগ্রীর তালিকা তৈরি করে। তার পরে তা ওই গ্রামেরই বাসিন্দা তথা ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রথীন্দ্রনাথ সরকারকে অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দেখভালের দায়িত্বও দেয়।

ঘটনা হল, কয়েক মাস আগে একই অভিযোগে স্থানীয় কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দারাও ওই ঠিকাদারেরই ট্রাক আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তার পরেও ঠিকাদার শোধরাননি বলে অভিযোগ। রথীনবাবু বলেন, ‘‘বেশ কয়েক মাস ধরে নিম্নমানের চাল, ডাল দিয়ে রান্না হচ্ছিল। কেন্দ্রের কর্মীরা গ্রামবাসীদের জানিয়েছিলেন, রাতের অন্ধকারে ঠিকাদার নিম্নমানের ওই সব চাল ডাল দিয়ে যায়। সকালে খুলে দেখার পরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয় না।’’ তাই শনিবার ঠিকাদারের ট্রাক ঢুকতেই আটক করেন গ্রামবাসীরা। ‘‘দেখা যায়, চাল-ডাল তো নিম্নমানের বটেই, ওজনেও অনেক কম,’’— এমনটাই দাবি রথীনবাবুদের।

Advertisement

ওই কেন্দ্রের সহায়িকা মিনতি কুণ্ডুর দাবি, নিম্নমানের মালপত্র সরবরাহের কথা ঠিকাদারকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন, ট্রাক মাল দিতে এলেই যেন তাঁদের খবর দেওয়া হয়। সেই মতো গ্রামবাসীদের মালপত্র বুঝে নেওয়ার জন্য তিনি খবর পাঠিয়েছিলেন বলে জানান। এ দিকে, অভিযুক্ত ঠিকাদার মুস্তাক আহমেদের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘চাল-ডালের গুণগত মান বা ওজনের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমি মজুত এবং সরবরাহের এজেন্ট মাত্র। সরকার আমার গুদামে ওই সব সামগ্রী মজুত রেখে বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার তালিকা দেয়। আমি সেই অনুযায়ী কাজ করি।’’

যদিও ময়ূরেশ্বর ১ নং ব্লক সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শান্তি বাগদি জানান, এমনটা হওয়ার কথা নয়। গুণগত মান এবং ওজন যাচাই করেই গুদামে চাল-ডাল মজুত করা হয়। তা সত্ত্বেও ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কেন বারবার এমন অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন