সাজানো সিলিন্ডার। নিজস্ব চিত্র।
একটির উপরে একটি, তার উপরে আরও কয়েকটি। রানীগঞ্জ–মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের ধারে এ ভাবেই সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার। শুধু গ্যাস নয়, পুলিশ-প্রশাসনের চোখের সামনেই বোতলবন্দি হয়ে দিব্য বিকোচ্ছে ডিজেল, পেট্রোলও। চা, পান-বিড়ির দোকানের আড়ালে রমরমিয়ে চলছে এই অবৈধ ব্যবসা।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, রানিগঞ্জ–মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের লক্ষ্মীবাটি মোড় থেকে তেজহাটি মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরত্বেই রয়েছে জ্বালানি বিক্রির অন্তত পাঁচটি দোকান। কী ভাবে চলে ব্যবসা? তেজহাটি মোড় সংলগ্ন একটি দোকানের কর্মচারী জানালেন, খোলাবাজার থেকে গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার দোকানে আনা হয়। একই ভাবে আনা পেট্রোলও। দোকান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লোকও রয়েছে।
কথা বলে জানা গেল, জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া ট্রাক চালকেরাই এর প্রধান ক্রেতা। স্থানীয় বাসিন্দারাও আপদে-বিপদে এখান থেকে গ্যাস কিনে নেন। দাম নির্ভর করে ব্যান্ডের উপরে। ভর্তি সিলিন্ডার ৩১৫০ থেকে শুরু করে ৩৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়। খালি সিলিন্ডারের আলাদা দাম। তা বিক্রি হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায়।
তেজহাটি মোড় ছাড়িয়ে অন্য একটি দোকানের মালিক জানান, গ্রামের গ্রাহকদের থেকে ভর্তি সিলিন্ডার সংগ্রহ করেন। এই ব্যবসা বেআইনি জেনেও তা থেকে পিছিয়ে আসেননি এঁদের অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এর জন্যে পুলিশ-প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ি করেছেন। এঁদের এক জনের কথায়, ‘‘পাশেই জাতীয় সড়ক। এমনিতেই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগে রয়েছে। কোন দিন এই সিলিন্ডারের জন্যে না বড়সড় বিপদ হয়।’’
গ্যাস এ ভাবে বিক্রি হচ্ছে, সে তথ্য জানা নেই বলে দাবি করেছেন একটি রান্নার গ্যাস কোম্পানির সেলস ম্যানেজার অমিত দে। তাঁর কথায়, ‘‘এ রকম ভাবে ব্যবসা চলতে পারে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ অন্য একটি কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার অনির্বাণ রায় বলেন, ‘‘এটা গ্রাহকদের কাছ থেকে হচ্ছে না ডিস্ট্রিবিউটর পয়েন্ট থেকে হচ্ছে সেটা দেখতে হবে। যাই হোক ব্যবস্থা নেব।’’ রামপুরহাটের মহকুমাশাসক বিষয়টি পুলিশকে দেখার জন্যে বলেছেন। যে দফতর এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে, জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এর ডেপুটি সুপার আবদুল আজিমও জানিয়েছেন, ঠিক কী চলছে জেনে ব্যবস্থা নেবেন। গ্রন্থাগারিক নেই নানুর: গ্রন্থাগার আছে। কিন্তু গ্রন্থাগারিকের অভাবে তালাবন্ধ পড়ে নানুরের বাসাপাড়া-ব্রাম্ভ্রণখণ্ড হাইস্কুলের গ্রন্থাগারের দরজা। নিয়ম অনুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি স্কুলে এক জন করে গ্রন্থাগারিক থাকার কথা। ২০০০ সালে স্কুলটি উচ্চ মাধ্যমিকের অনুমোদন পায়। কিন্তু আজও কোনও গ্রন্থাগারিক মেলেনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনবন্ধু ঘোষ জানান, লিখিত ভাবে শিক্ষা দফতরের দৃষ্টি আর্কষণ করেও লাভ হয়নি।