Coronavirus iN West Bengal

করোনা পরীক্ষার শিবির অযোধ্যায়

পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘অযোধ্যা পাহাড়ের মূল ব্যবসা পর্যটন। পুজোর সময়ে যাতে পর্যটকদের সংক্রমণ সম্পর্কিত কোনও ভীতি না থাকে, সে কথা ভেবেই এ দিন পরীক্ষা হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া ও বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২০ ০০:০১
Share:

নমুনা সংগ্রহ: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে রবিবার। নিজস্ব চিত্র।

পুজোয় বেড়াতে আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রবিবার পুরুলিয়ার অযোধ্যা হিলটপে শিবির করে করোনা পরীক্ষা হল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট’ দিয়ে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অতিথি আবাসের কর্মীদের পরীক্ষা করা হয়। হিলটপে খাবার ও টুকিটাকি নানা জিনিসের দোকান রয়েছে। সেখানকার কর্মী ও মালিকদেরও পরীক্ষা হয়। ছিলেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, মহকুমাশাসক (ঝালদা) সুশান্ত ভক্ত ও বিডিও (বাঘমুণ্ডি) উৎপল দাস মোহরী।

Advertisement

রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে পুরুলিয়ায় মাওবাদী সক্রিয়তা বন্ধ হয়। সেই সময় থেকে পর্যটন মানচিত্রে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে অযোধ্যা পাহাড়ের। গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে, পুজোর সময়ে পাহাড়ের কোনও অতিথি আবাসই ফাঁকা থাকে না। এ বছর দীর্ঘ লকডাউনে মার খেয়েছে পর্যটনের ব্যবসা। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘অযোধ্যা পাহাড়ের মূল ব্যবসা পর্যটন। পুজোর সময়ে যাতে পর্যটকদের সংক্রমণ সম্পর্কিত কোনও ভীতি না থাকে, সে কথা ভেবেই এ দিন পরীক্ষা হয়েছে।’’

জেলাশাসক জানান, এ দিন পাহাড়ের ১১৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। কারও সংক্রমণের ধরা পড়েনি। পাহাড়ের একটি হোটেলের মালিক রোহিত লাটা বলেন, ‘‘লকডাউনের সময়ে জেলার পর্যটন ব্যবসায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আনলক পিরিয়ডে লোকজনের আানাগোনা শুরু হলেও সে ভাবে পর্যটক আসা শুরু হয়নি। পুজো নিয়ে আমরা সবাই খুব আশাবাদী। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপটি খুবই কার্যকরী।’’

Advertisement

পাহাড়ের পর্যটন গাইড বেণু সেন বলেন, ‘‘এতদিন পর্যটকেরা না আসায় আমাদের ব্যবসা হয়নি। পুজোর আগে পর্যটকদের ভয় কাটানো খুব দরকার।’’ পেশায় গাড়িচালক সতীশ কিস্কু বলেন, ‘‘হোটেল ও লজের কর্মীদের পাশাপাশি গাড়ি চালকদেরও পরীক্ষা করানো হলে ভাল হয়। অনেকেই তো পাহাড়ে বেড়াতে এসে আমাদের থেকে গাড়ি নেন।’’

জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন