জয়পুর ব্লক অফিসে। নিজস্ব চিত্র
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকেই যখন রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তখন তাঁরাই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন। পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা এই ভাবনা থেকেই চাঁদা তোলা শুরু করেছিলেন। মঙ্গলবার তাঁদের কয়েকজন বিডিও (জয়পুর) বিশ্বজিৎ দাসের হাতে তুলে দিয়েছেন ৬৬ হাজার টাকার চেক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিডিপিও (জয়পুর) বিনোদবিহারী মুর্মু এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিন্দুবালা কর্মকার। দ্রুত সেই চেকটি রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তাঁরা। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে প্রশাসন। বিডিও বলেন, ‘‘ওঁদের উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। চেকটি সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক এলাকার সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রয়েছেন ১৬১ জন। সহায়িকা রয়েছেন ১৬৪ জন। কর্মীদের মাসিক ভাতা ৭,২৫০ টাকা। সহায়িকারা পান মাসে ৫,৩০০ টাকা। বিডিও-র হাতে চেক দেওয়ার পরে সোনালি চট্টরাজ, নারায়ণী দেওয়াসীর মতো অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা বলেন, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকেই রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আমরাই বা হাত গুটিয়ে বসে থাকব কেন? আমরাও সরকারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম। আমরা চাই সকলেই এগিয়ে আসুক।’’ সিডিপিও বলেন, ‘‘দফতরের কর্মীরা এ ভাবে এগিয়ে আসায় আমরা গর্বিত।’’