Coronavirus in West Bengal

জ্বর নিয়েই কাজে, বন্ধ কেন্দ্রীয় অফিস

রবিবারই জানাজানি হয় যে, ওই কর্মী নিজেই করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দিয়েছেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২০ ০১:৫০
Share:

কেন্দ্রীয় কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র

সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। বিশ্বভারতী সূত্রে
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মরত এক কর্মীর শারীরিক অসুস্থতার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। বেশ কিছু দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন ওই কর্মী। তা সত্ত্বেও রবিবার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন তিনি।

Advertisement

সূত্রের খবর, রবিবারই জানাজানি হয় যে, ওই কর্মী নিজেই করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দিয়েছেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। এ কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই বাকি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এ দিন বলেন, “কর্মীর শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি ঠিক। তবে, তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব। তবে, সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আগামী কয়েকদিন সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় কার্যালয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করা হবে।’’ প্রবীণ অধ্যাপক ও কর্মীদের একাংশের দাবি, বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে কোনও রকম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এমন ভাবে কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং গ্রন্থাগার বন্ধ থাকার ঘটনা তাঁদের জানা নেইনি। গোটা ঘটনা নিয়ে সরকারি ভাবে কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করতে অস্বীকার করলেও বর্তমান করোনা-আবহে এক জন কর্মীর শারীরিক অসুস্থতা এবং করোনা-পরীক্ষার খবর জানাজানি হতে অবশ্য দেরি হয়নি। কর্তৃপক্ষের চুপ থাকা তাঁদের মনে উৎকন্ঠা তৈরি করেছে বলে দাবি কর্মীদের।

বিশ্বভারতী কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকার বলেন, “কর্মীর অসুস্থতার ব্যাপারে এমন ধোঁয়াশা রাখা হচ্ছে কেন, তা সকলে জানতে চান। বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বিশ্বভারতীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি কেন বন্ধ করা হল, সেটাও প্রশ্ন।’’ মাসের একদম শেষে এসে এ ভাবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাসিক বেতন এবং পেনশনের টাকা সময়ে পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে কর্মী, অধ্যাপক এবং অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে। এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বলেন, “মাসের শেষে হাতে টাকা সব শেষ। এখন যদি খুব বেশি দিনের জন্য কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়, তবে অসুবিধার শেষ থাকবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement