Coronavirus in West Bengal

মুখ না ঢেকে বাজারে মানা জেলা পুলিশের

গ্রাম থেকে বাজার আনাজ নিয়ে আসা বিক্রেতা ও চাষিদের ‘মাস্ক’ দিচ্ছে বেশ কিছু সংস্থা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০২:৩২
Share:

ছুটির মেজাজ: বিষ্ণুপুর শহরের বিশ্বাসপাড়ায় মুখ না ঢেকে দোকানের সমানে জটলা। চলছে গল্পগাছাও। রবিবার। ছবি: শুভ্র মিত্র

‘মাস্ক’ পরা নিয়ে এ বার পুরুলিয়ায় কড়াকড়ি শুরু করল পুলিশও। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার সমস্ত বাজারেই এ বার থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ‘মাস্ক’ পরে আসা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রবিবার কাশীপুরের কিসান মান্ডির গেটে দাঁড়িয়েছিলেন কাশীপুরের ওসি শ্রীকান্ত মুলা। মুখ না ঢেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ দিন রেলশহর আদ্রায় পুলিশ কর্মীদের নিয়ে বেরিয়েছিলেন ওসি সুদীপ হাজরা। দু’টি লেভেল ক্রসিং-এ দীর্ঘ ক্ষণ ছিলেন। অকারণে বা ‘মাস্ক’ না পরে বাইরে বেরোনো লোকজনকে ধমক দিয়েছেন।

Advertisement

গ্রাম থেকে বাজার আনাজ নিয়ে আসা বিক্রেতা ও চাষিদের ‘মাস্ক’ দিচ্ছে বেশ কিছু সংস্থা। রবিবার পুরুলিয়া শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বড়হাটে মাস্ক বিলি করে। সংস্থার কর্মকর্তা অলোক সেন জানান, তাঁরা পাঁচশোর মতো ‘মাস্ক’ দিয়েছেন বিক্রেতাদের। কাশীপুরে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির তরফে বাবলু জানার দাবি, রবিবার তাঁরা প্রায় দেড়শো বিক্রেতাকে ‘মাস্ক’ দিয়েছেন। কাশীপুরের কিসান মান্ডির গেটে দাঁড়িয়ে ‘মাস্ক’ পরার গুরুত্ব বুঝিয়েছেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।

পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার পর পর দু’দিন শহরে রাস্তায় নেমে ‘মাস্ক’ পরা নিয়ে কড়াকড়ি করেছেন। এতে বেশ কিছুটা কাজ হয়েছে বলে শহরবাসীর একাংশের মত। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ। সবাইকে সতর্কতা মানতে হবে। নাক-মুখ না ঢেকে রাস্তায় বেরনো চলবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement