জাহানারার ঘরের দশা। কিন্তু মেলেনি সরকারি গৃহ প্রকল্প। নিজস্ব চিত্র
টাকা দিলে তবেই সরকারি প্রকল্পে ঘরবাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগটা নতুন নায়। কিন্তু এ বার এক বাসিন্দার কাছে সরাসরি সেই ক্ষোভের কথা শুনতে হল বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে।
বিষ্ণুপুরে মহকুমাস্তরের প্রশাসনিক বৈঠক করতে মঙ্গলবার সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু প্রমুখ এসেছিলেন। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসতেই সভাধিপতির কাছে বিষ্ণুপুর ব্লকের দ্বারিকা-গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্যামসুন্দরপুর মীরপাড়ার বাসিন্দা জাহানারা খান অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের এলাকায় এমনিতে সরকারি প্রকল্পে গরিবদের বাড়ি করে দেওয়া হচ্ছে না। ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। না হলে সরকারি অনুদানের বাড়িই পাওয়া যাচ্ছে না।’’ তিনি সভাধিপতিকে জানান, ‘‘ছিটে বেড়ার দেওয়ালের উপর ত্রিপলের দু’চালা ঘরে দুই বাচ্চাকে নিয়ে চারজনে থাকি। বর্ষা ও শীতে খুব কষ্টে থাকি। বারবার পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও সরকারি অনুদানের বাড়ি পেলাম না। যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের কাছে জানতে পারি, ২০ হাজার কিংবা ২৫ হাজার টাকা দিলে তবেই বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। আমার ঠিকমতো সংসার চলে না। কোথায় টাকা পাব।’’ এমন অভিযোগ পেয়ে হতবাক অরূপবাবু সঙ্গে সঙ্গে বিষ্ণুপুরের বিডিওকে ডেকে বিষয়টি দেখতে বলেন।
ওই এলাকার মোলকারি গ্রামে হাজার দুয়েক লোকের বাস। তাঁরা গ্রামে পানীয় জলের সঙ্কট চলছে বলে সভাধিপতিকে জানান। তাঁরা একটি সাব-মার্সিবল পাম্পের আবেদন জানিয়েছেন। ওই পঞ্চায়েত এলাকার অবন্তিকা থেকে বেন্দা হয়ে রানিখামার, দ্বারিকা থেকে চাকদহ হয়ে সুভাষপল্লি, মধুবন, আঁইচবাড়ি রাস্তার বেহাল অবস্থা বলে তাঁরা জানান। ওই রাস্তা সংস্কারের দাবি করেন তাঁরা। দু’টি বিষয়ই বিষ্ণুপুর থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য মথুর কাপড়িকে দেখতে বলেন অরূপবাবু।