West Bengal Panchayat Election 2023

আতঙ্কে কান্না প্রার্থীর

ভোটের দিন ময়ূরেশ্বর থানা এলাকায় সব থেকে বড় গণ্ডগোলের ঘটনাটি ঘটে ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের মহিলা পরিচালিত রাজচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪৭ নম্বর বুথে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ০৭:০২
Share:

ময়ুরেশ্বর ১৫৭ নম্বর বুথে সিপিএম প্রার্থী সাহিনা বিবি। — নিজস্ব চিত্র।

ভোট করাতে এসে ছাপ্পা ও প্রতিরোধের মাঝে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার-সহ ভোটকর্মীরা। এ বার পুনর্নির্বাচনে ভোট দিতে এসে আগাম সন্ত্রাসের আশঙ্কায় কান্নায় ভেঙে পড়েন সিপিএম প্রার্থী সাহিনা খাতুন। ঘটনাস্থল ময়ূরেশ্বর।

Advertisement

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটের দিন ময়ূরেশ্বর থানা এলাকায় সব থেকে বড় গণ্ডগোলের ঘটনাটি ঘটে ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের মহিলা পরিচালিত রাজচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪৭ নম্বর বুথে। ভোট চলাকালীন মুখে কাপড় বেঁধে এক দল লোক বুথে ঢুকে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে অবাধে ছাপ্পা দিতে শুরু করেন। সে সময়ে পাল্টা আরও একদল লোক রে-রে করে ছুটে এসে ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দেন। রাস্তায় দু’টি বাইকও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ওই সব ঘটনা দেখে ভোটকর্মীরা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রিসাইডিং অফিসার অঞ্জনা শেঠ-সহ ভোটকর্মীরা। প্রায় একই ঘটনা ঘটে ওই পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫৬ এবং ১৫৭নম্বর বুথেও। আজ সেখানেপুনর্নির্বাচন হচ্ছে।

এ দিন ওই বুথে ভোট দিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সিপিএম প্রার্থী সাহিনা খাতুন। কান্না সামলে তিনি বলেন, "ভোটের দিন থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। চারদিকে পাহারা বসিয়ে রেখেছে। তাঁদের সন্ত্রাসের ভয়ে আমাদের ভোটারেরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। একতরফা ভোট হচ্ছে। জানি না ভোটের পরে কপালে কী আছে!’’

Advertisement

সাহিনার স্বামী আমিরচাঁদ শেখ বলেন, ‘‘ভোটের দিন দুষ্কৃতীদের ছুরিতে আমরা স্বামী, স্ত্রী আহত হয়েছি। তা সত্ত্বেও আমার নামেই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাই আত্মগোপন করে আছি। পরিবারের জন্য খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’’সিপিএমের ময়ূরেশ্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত ভল্লা বলেন, ‘‘শুধু ওই বুথেই নয়, অন্য বুথেও হুমকি দিয়ে বিরোধী ভোটারদের বাড়িতে আটকে রেখে একতরফা ভোট করছে তৃণমূল।’’

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নারায়ণপ্রসাদ চন্দ্র ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিরোধীদের ভোট দেওয়ার মতো কেউ নেই বলেই ওই অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন