স্তম্ভে চিড় জলাধারের

বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালের জলাধার। প্রায় ৪৩ বছর আগে, ১৯৭৫ সালে জলাধারটি নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসীর দাবি, তার পর থেকে কোনও সংস্কার হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০৩
Share:

বিপদ: গ্রামীণ হাসপাতালের জলাধার। নিজস্ব চিত্র

বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালের জলাধার। প্রায় ৪৩ বছর আগে, ১৯৭৫ সালে জলাধারটি নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসীর দাবি, তার পর থেকে কোনও সংস্কার হয়নি। জলাধারের চারটি স্তম্ভে চিড় ধরেছে। স্তম্ভগুলি থেকে কংক্রিটের চাঙর খুলে খুলে পড়ছে। লোহার শিকও বেরিয়ে পড়েছে স্তম্ভগুলি থেকে। জলাধারের পাশে রয়েছে চিকিৎসকদের বাসস্থান ভবন। এমন অবস্থা দেখে চিকিৎসকরাও আতঙ্কিত। অনেকেরই আশঙ্কা, যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে জলাধারটি।

Advertisement

মাস ছ’য়েক আগে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক জলাধারের উপরে উঠে পড়েছিল। আঠারো ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে নীচে নামানো হয়। সে সময় জলাধারের সিঁড়ি ভেঙে দুই জন দমকল কর্মী আহত হন। কিছু দিন আগে জল দফতর নতুন করে সিঁড়ি বানিয়ে দিলেও জলাধারের স্তম্ভগুলি কোনও সংস্কার করা হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুধু সিঁড়ি তৈরি করে কর্তৃপক্ষ নিজেদের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। জলাধারের নীচে হাসপাতলের রোগীর আত্মীয়েরা বসে থাকেন। বিপদের আশঙ্কায় সিঁটিয়ে থাকতে হয় তাঁদের। প্রশাসনের কাছে সকলের আর্জি, অবিলম্বে জলধার সংস্কার করা হোক।

মুরারই ১ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলাইচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘জলাধার বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। সে কথা বিডিও (মুরারই ১), জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।”

Advertisement

মুরারই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ অবশ্য জানান, তাঁরা মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে অর্থ বরাদ্দ করে জলধার সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছেন। দ্রুত সেই সংস্কার হয়ে যাবে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন