চিকিৎসক নিগ্রহ চলছেই

হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ক্যাম্পের দাবি

গত আট মাসে চার বার। রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের পরিসংখ্যান এটাই। আর ক’দিন বাদে জেলা হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উত্তীর্ণ হবে। কিন্তু, চিকিৎসক নিগ্রহে দাঁড়ি পড়ছে না দেখে চিন্তায় হাসপাতাল কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০২:০৮
Share:

গত আট মাসে চার বার। রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের পরিসংখ্যান এটাই। আর ক’দিন বাদে জেলা হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উত্তীর্ণ হবে। কিন্তু, চিকিৎসক নিগ্রহে দাঁড়ি পড়ছে না দেখে চিন্তায় হাসপাতাল কর্তারা।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগে পরিজনদের হাতে নিগৃহীত হন দুই চিকিৎসক। হাসপাতালে ভাঙচুরের চেষ্টা, নার্সদের গালিগালাজের অভিযোগও ওঠে। পেট ব্যথার উপসর্গ নিয়ে ইলিয়াস শেখ নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পরেই ওই ঘটনা। পরিজনদের অবশ্য দাবি ছিল, হাসপাতালে আনার পরেও দু’ঘণ্টা চিকিৎসা না করিয়ে কার্যত ফেলে রাখা হয়েছিল। তাতেই সাধারণ পেটের ব্যথাতেও রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বারবার চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে চিন্তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এঁদের একাংশের মতে, মারধরের মতো ঘটনার পরেও কোনও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় বেপোরোয়া হয়ে উঠছেন কেউ কেউ। তাতেই এই ঘটনা। রামপুরহাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর প্রস্তাবও উঠেছে। বুধবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের সঙ্গে এক আলোচনায় মন্ত্রী তথা রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সে নিয়ে কথাও হয়েছে। আশিসবাবু বলেন, ‘‘এক শ্রেণির লোকজন
হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিগ্রহ করছে। এটা ঠিক নয়। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” পুলিশ ক্যাম্প করা নিয়ে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

অন্য দিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পরেপরেই এক জনকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু, মৃতের পারলৌকিক কাজ থাকায় মানবিকতার খাতিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা রুজু করা হয়নি বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement