যা ছিল প্রশ্ন
•গত বছর ঠিক এই সময়ে কেমন ছিল বিক্রিবাটা?
•নোট অচলের ঘোষণার আগে-পরে বিক্রির কী হাল?
•এই পরিস্থিতির কী ভাবে মোকাবিলা করছেন?
•ক্রেতারা পুরনো নোট নিয়ে এলে কী করছেন?
•মোদীর এই সিদ্ধান্তকে কী ভাবে দেখছেন?
বোলপুরের জুয়েলারি দোকান
• গত বছর সাড়ে চার লক্ষ টাকা বিক্রি হয়েছিল। এ বার এক লক্ষ।
• ঘোষণার আগে বিক্রি ভাল ছিল। এখন অনেক কমে গিয়েছে।
• বিদ্যুতের বিল ৫০ হাজার, ১৯ জন কর্মী। পরিস্থিতি না বদলালে বেশি দিন চালাতে পারব না।
• পুরনো নোট নিচ্ছি না। প্যান কার্ডও আবশ্যিক করা হয়েছে।
• আজকের যন্ত্রণা, ভবিষ্যতের প্রাপ্তি— এই আশায় বাজারে আছি। তা না হলে বিকল্প ব্যবসার দিকে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
কলকাতার বিপণির দুবরাজপুর শাখা
• আগের বেশ কয়েকটি বছর এই সময় যথেষ্ট বেচাকেনা হয়েছে।
• ধনতেরসেও ২০-২৫ শতাংশ বেশি বেচাকেনা হয়েছিল। নোট বাতিলের পরে বেচাকেনা কার্যত বন্ধ। দু’চারজন খদ্দের আসছেন।
• আমাদের খদ্দেররা মূলত গ্রামেরই। তাই ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডে তেমন কারবার চলে না। কার্ডেও বেচাকেনা সীমিত।
• নিচ্ছি না। চালাব কোথায়?
• দেশের কতটা ভাল হবে জানি না। ব্যবসায়ী হিসাবে এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে পারছি না।
রামপুরহাটের সোনার দোকান
• গত বছর ঠিক এই সময়ে এখনকার চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি বিক্রিবাটা হয়েছিল। ৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছিলাম।
• নোট অচলের পরে মাত্র ১০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে।
• খদ্দেরকে মাল দিতে পারছি না। কলকাতা থেকে আনা পাকা সোনা বিক্রি করতে পারছি না। আবার কলকাতা থেকে তৈরি করা মালও নিয়ে আসতে পারছি না।
• নোট নিচ্ছি না। তবে, বহু দিনের খদ্দের হলে নিতে বাধ্য হচ্ছি।
• সিধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা সকলেই চাই, কালো টাকা উদ্ধার হোক। কিন্তু এমন সিধান্ত নেওয়ার আগে বাস্তব পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা বুঝে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল।
সাঁইথিয়ার সোনার দোকান
• গত বছর ঠিক এই সময় বিক্রির বাজার খুবই ভাল ছিল।
• নোট অচলের আগে বিক্রিবাটা ঠিকই চলছিল। এখন ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
• কোনও রকমে চলছে।
• ফিরিয়ে দিচ্ছি।
• মোদীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত। কিন্তু নোট বাতিলের আগে সঠিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা উচিত ছিল। তা হলে এমন পরিস্থিতি হতো না।