নোট বাতিলে সোনায় কোপ

ভরা অগ্রহায়ণ। বিয়ের মরসুম। ধান উঠে যাওয়ায় টাকা আসে মানুষের হাতে। শুধু শহরাঞ্চল নয়ই, বর্ষার কাদা না থাকায় গাঁ-গঞ্জেও বিয়ের সংখ্যা বেড়ে যায়। বাজার চাঙ্গা থাকে। এ মাসে বিয়ের তারিখ রয়েছে চারটি। তাতেই তুঙ্গে উঠেছে গয়নার চাহিদা। কিন্তু মাঝপথেই নোট অচলের সিদ্ধান্ত। কী প্রভাব ফেলেছে সোনার দোকানের বিক্রিবাটায়? বাজার ঘুরে খোঁজ নিল আনন্দবাজার।ভরা অগ্রহায়ণ। বিয়ের মরসুম। ধান উঠে যাওয়ায় টাকা আসে মানুষের হাতে। শুধু শহরাঞ্চল নয়ই, বর্ষার কাদা না থাকায় গাঁ-গঞ্জেও বিয়ের সংখ্যা বেড়ে যায়। বাজার চাঙ্গা থাকে। এ মাসে বিয়ের তারিখ রয়েছে চারটি। তাতেই তুঙ্গে উঠেছে গয়নার চাহিদা। কিন্তু মাঝপথেই নোট অচলের সিদ্ধান্ত। কী প্রভাব ফেলেছে সোনার দোকানের বিক্রিবাটায়? বাজার ঘুরে খোঁজ নিল আনন্দবাজার।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩৭
Share:

যা ছিল প্রশ্ন

Advertisement

গত বছর ঠিক এই সময়ে কেমন ছিল বিক্রিবাটা?

নোট অচলের ঘোষণার আগে-পরে বিক্রির কী হাল?

Advertisement

এই পরিস্থিতির কী ভাবে মোকাবিলা করছেন?

ক্রেতারা পুরনো নোট নিয়ে এলে কী করছেন?

মোদীর এই সিদ্ধান্তকে কী ভাবে দেখছেন?

বোলপুরের জুয়েলারি দোকান

গত বছর সাড়ে চার লক্ষ টাকা বিক্রি হয়েছিল। এ বার এক লক্ষ।

ঘোষণার আগে বিক্রি ভাল ছিল। এখন অনেক কমে গিয়েছে।

বিদ্যুতের বিল ৫০ হাজার, ১৯ জন কর্মী। পরিস্থিতি না বদলালে বেশি দিন চালাতে পারব না।

পুরনো নোট নিচ্ছি না। প্যান কার্ডও আবশ্যিক করা হয়েছে।

আজকের যন্ত্রণা, ভবিষ্যতের প্রাপ্তি— এই আশায় বাজারে আছি। তা না হলে বিকল্প ব্যবসার দিকে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

কলকাতার বিপণির দুবরাজপুর শাখা

আগের বেশ কয়েকটি বছর এই সময় যথেষ্ট বেচাকেনা হয়েছে।

ধনতেরসেও ২০-২৫ শতাংশ বেশি বেচাকেনা হয়েছিল। নোট বাতিলের পরে বেচাকেনা কার্যত বন্ধ। দু’চারজন খদ্দের আসছেন।

আমাদের খদ্দেররা মূলত গ্রামেরই। তাই ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডে তেমন কারবার চলে না। কার্ডেও বেচাকেনা সীমিত।

নিচ্ছি না। চালাব কোথায়?

দেশের কতটা ভাল হবে জানি না। ব্যবসায়ী হিসাবে এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে পারছি না।

রামপুরহাটের সোনার দোকান

গত বছর ঠিক এই সময়ে এখনকার চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি বিক্রিবাটা হয়েছিল। ৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছিলাম।

নোট অচলের পরে মাত্র ১০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে।

খদ্দেরকে মাল দিতে পারছি না। কলকাতা থেকে আনা পাকা সোনা বিক্রি করতে পারছি না। আবার কলকাতা থেকে তৈরি করা মালও নিয়ে আসতে পারছি না।

নোট নিচ্ছি না। তবে, বহু দিনের খদ্দের হলে নিতে বাধ্য হচ্ছি।

সিধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা সকলেই চাই, কালো টাকা উদ্ধার হোক। কিন্তু এমন সিধান্ত নেওয়ার আগে বাস্তব পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা বুঝে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল।

সাঁইথিয়ার সোনার দোকান

গত বছর ঠিক এই সময় বিক্রির বাজার খুবই ভাল ছিল।

নোট অচলের আগে বিক্রিবাটা ঠিকই চলছিল। এখন ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে।

কোনও রকমে চলছে।

ফিরিয়ে দিচ্ছি।

মোদীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত। কিন্তু নোট বাতিলের আগে সঠিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা উচিত ছিল। তা হলে এমন পরিস্থিতি হতো না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন