dowry

১২ লক্ষ টাকা দিলেও আরও পণের দাবিতে খুনের চেষ্টা, স্বামী-সহ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় বধূ

শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে মানবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক বধূ। তাঁর দাবি, ১২ লক্ষ টাকা পণ দিলেও স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অর্থের দাহিদা মেটেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৪
Share:

পণের চাহিদা না মেটানোয় তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দাবি পুরুলিয়ার এক বধুর। প্রতীকী ছবি।

১২ লক্ষ টাকা-সহ যৌতুকে নানা সামগ্রী দিলেও শ্বশুরবাড়ির চাহিদা মেটেনি। আরও পণের দাবিতে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করেছেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনই অভিযোগ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন পুরুলিয়ার এক বধূ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মানবাজারের বাসিন্দা রাইমা চট্টোপাধ্যায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে মানবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়েতে ১২ লক্ষ টাকা-সহ যৌতুক হিসাবে নানা সামগ্রী দিলেও স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অর্থের দাহিদা মেটেনি।

বধূর দাবি, বিয়ের পর আরও যৌতুক ও টাকাপয়সার দাবি করতে থাকেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পণের চাহিদা না মেটানোয় তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন স্বামী, শাশুড়ি, ননদ এবং নন্দাই। এমনকি, এক দিন রাতে ওই চার জন তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ ওই বধূর। বাধ্য হয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই বধূ। এই অভিযোগ পাওয়ার পর চার জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করেছে মানবাজার থানার পুলিশ। পাশাপাশি, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন