জলাজমিতে পুকুর খনন, দুর্নীতির অভিযোগ

পুকুর খনন এবং সংস্কারের কাজে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠল বোরোতে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিডিও (মানবাজার ২)-এর দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা জানান, বোরো থানার কুমারী পঞ্চায়েত এলাকার গোবিন্দপুর গ্রাম লাগোয়া বেশ কিছু জমি রয়েছে। সেগুলি জলডুবি নামে এলাকায় পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোরো শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৮
Share:

পুকুর খনন এবং সংস্কারের কাজে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠল বোরোতে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিডিও (মানবাজার ২)-এর দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা জানান, বোরো থানার কুমারী পঞ্চায়েত এলাকার গোবিন্দপুর গ্রাম লাগোয়া বেশ কিছু জমি রয়েছে। সেগুলি জলডুবি নামে এলাকায় পরিচিত। মুকুটমণিপুর জলাধার নির্মাণের সময় ওই জমিগুলি সরকার অধিগ্রহণ করেছিল। বর্ষাকালে বেশ কয়েক মাস এগুলি ডুবে থাকে। তাঁরা জানান, সম্প্রতি একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বহু টাকা ব্যয়ে সেই জমিতেই পুকুর খোঁড়া হয়েছে। গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বীরবল সিং, লুথু মাহাতো, পিতু মুদিদের দাবি, অগস্ট মাসের শেষে পুকুরটি খননের কাজ শেষ হয়। তার কয়েক দিনের মধ্যেই টানা বৃষ্টিতে সেটি জলের তলায় চলে যায়। বর্তমানে কুমারী নদী মুকুটমণিপুর জলাধারে মিশে যাওয়ায় ওই এলাকা পুরোপুরি ডুবে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জলা এলাকায় পুকুর খোঁড়ার যৌক্তিকতাই নেই। তার উপরে পুকুরটি বছরের অধিকাংশ সময় ডুবে থাকলে আদৌ মাটি কাটা হয়েছে কি না, তা পরিমাপ করা হবে কী করে? এতেই পরিষ্কার দুর্নীতি হয়েছে।’’ কুমারী পঞ্চায়েত প্রধান সুচিত্রা টুডু এ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। পুকুরটি আদৌ আছে কি না, এখন তা বোঝারও জো নেই। তাঁদের অভিযোগ, এই কাজের নামে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। বিডিও (মানবাজার ২) নির্মল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন