ফাইল চিত্র।
সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করতে দল কী কী কর্মসূচি নেবে বিজেপি, শাসকদলকে মোকাবিলার কৌশল কী হবে তা নিয়ে বিশদে জেলা নেতা ও কর্মীদের পরামর্শ দিতে দু’দিনের সফরে বীরভূমে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার দুপুরে সিউড়ি রামকৃষ্ণ সভাগৃহে জেলা নেতাদের সঙ্গে একটি সাংগঠিনক বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে পাহাড়কাণ্ড থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপি রাজ্যসভাপতি।
বিমল গুরঙ্গকে বিজেপির সমর্থন নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি রাজ্য ভাগের পক্ষে নয়, কখনও গোর্খাল্যাণ্ডের কথা বলেনি, বলবেও না। গোর্খাল্যাণ্ডের দাবি তুলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিনয় তামাং। পাহাড়ে তিনিই আগুন লাগিয়েছেন। যিনি ৪২টি মামলায় অভিযুক্ত কেন তাঁকে জিটিএ-র প্রধান করা হয়েছে। তিনি এখন ভাল মানুষ কেন না তিনি তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, যে অভিযোগ বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ বিনয় তামাং-এর বিরুদ্ধেও রয়েছে। তাহলে কীভাবে শাসকদল এটা করছে। একই ঘটনা কামতাপুরী আন্দোলনের মূল হোতার সঙ্গেও ঘটেছে। দিলীপবাবুর কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এটাই রীতি, ছত্রধর মাহাত এবং কিষেনজীকে যতদিন প্রযোজন ছিল ব্যবহার করে পরে একজনকে গুলি করে মেরেছেন অন্যজনকে জেলে পুরেছেন। গুরুঙ্গও তৃণমূলের কাছের ছিল একসময়। তৃণমূল ভজনা থেকে সরে আসতেই এখন তিনি দেশদ্রোহী। তামাং কতদিন থাকবেন সেটাও দেখার।’’
দিলীপবাবুর দাবি, রাজ্য চাইলে বা উপদ্রুত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠায় কেন্দ্র। তার মানে এই নয় বছরভর সেই বাহিনী থাকবে। এর একটি প্রটোকল আছে। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করতে বা লাঠি ধরে রাস্তা পাহারা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি তো বলেই দিয়েছেন পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে আর ১৫ কোম্পানি বাহিনী কীসের জন্য প্রয়োজন।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোন পথে সাফল্য আসবে এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সভাপতি বলেন তৃণমূলের নেতাদের জন্য ওষুধ তৈরি। তাঁর কথায়, এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপি-ই। একথা শুধু মুখে নয় নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। যেখানে যেখানে সাংগঠিনবক দুর্বলতা ঢেকে আমরা এগোচ্ছি। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেই প্রমাণিত হবে বিজেপির এ রাজ্যে ঠিক কোন অবস্থায় রয়েছে।