Dilip Ghosh

৫০০ টাকা দিয়ে সন্তানের চাকরি কিনেছে সরকার, দিলীপের দাবি ওড়াল তৃণমূল

শনিবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকেই তৃণমূলের ভোট কেনার কৌশল হিসেবে নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ওন্দা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৩ ০৮:৩৪
Share:

নিকুঞ্জপুরে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বাঁকুড়া জেলায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে সাড়ে আট লক্ষ। ভোটে এই প্রকল্পকেই প্রচারের মুখ করতে চাইছে জেলা তৃণমূল। তার আগে জেলায় এসে শনিবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকেই তৃণমূলের ভোট কেনার কৌশল হিসেবে নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ওই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা বিজেপি নেতাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

Advertisement

এ দিন সকালে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা মুক্তমঞ্চে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে দিলীপ বলেন, “মহিলাদের ৫০০ টাকা দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য রাজত্ব কিনে নিলেন? ওই ৫০০ টাকা দিয়ে আসলে তোমার ছেলেমেয়ের চাকরি কিনে নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দোষ ওঁর নয়। যে সমাজ ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়, তাঁদের কেন্দ্রের পাঠানো চাল খেয়েই বেঁচে থাকতে হয়। তাঁরা বেশি কিছু আশা করতে পারেন না। এখানকার লোকের চাকরি নেই, ব্যবসা নেই, তাই ওটাই করে খাবে।”

তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘দিলীপ ঘোষ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সমালোচনা করতে গিয়ে মহিলাদেরও অসম্মান করেছেন ওনার মন্তব্যে। এর জবাব বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটে পাবে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বহু গরিব পরিবারে আর্থিক সুরাহা হচ্ছে, সেটা বিজেপি নেতারা মেনে নিতে পারছেন না।’’

Advertisement

পরে দিলীপ বড়জোড়ায় গিয়ে কর্মিসভা করেন, দলের সমর্থনে দেওয়াল লিখনও করেন। বিকেলে ওন্দার নিকুঞ্জপুরে জনসভা করেন। শুক্রবার পুরুলিয়ায় দিলীপ দাবি করেছিলেন পরাজয়ের ভয়ে পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ দিন নিকুঞ্জপুরের সভায় তিনি বলেন, “আজ না হলেও দু-তিন মাস পরে পঞ্চায়েত ভোট হবে। তখন যদি কেউ ভোট লুট করতে আসে, তাহলে ‘ট্রিটমেন্ট’ আপনারা করবেন। কাঁচা বাঁশের লাঠি তৈরি রাখুন।”

গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলার অধিকাংশ আসন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গ টেনে সভায় দিলীপ বলেন, “পাঁচ বছরে কী পেয়েছেন আপনারা? তৃণমূল ভোট চাইতে এলে তা জানতে চাইবেন। কেন্দ্রের প্রকল্পে দেশের অন্য রাজ্যে ঘরে ঘরে জল পৌঁছে গেলেও এখানে এখনও মানুষকে জলের জন্য হন্যে হয়ে বহু দূরে যেতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট নেই। পাকা বাড়ি নেই অধিকাংশ মানুষের। অথচ কেন্দ্র ৫৬ লক্ষ পরিবারের জন্য আবাস যোজনার টাকা পাঠিয়েছিল। ভুয়ো জবকার্ডে টাকা তুলে তৃণমূল নেতারা একশো দিনের প্রকল্পের টাকা আত্মস্যাৎ করেছে। এক টাকারও হিসেব কেন্দ্রে পাঠায়নি।” দিলীপের দাবি, “এ বার পঞ্চায়েত ভোটে ওন্দার সব ক’টি পঞ্চায়েতেই পদ্মফুল ফুটবে। পাঁচ বছর আমাদের কাজের সুযোগ দিন, কাজ করতে না পারলে তখন শাস্তি দেবেন।’’

তৃণমূল জেলা সভাপতি অলক বলেন, “দিলীপ উস্কানিমূলক মন্তব্য করে এলাকায় অশান্তি ছড়াতে চাইছে। মানুষ ওদের কথায় বিশ্বাস করে না। শীঘ্রই নিকুঞ্জপুরে আমরাপ্রতিবাদ সভা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন