এসডিও অফিসে সদস্যেরা।—নিজস্ব চিত্র
জনগণের রায়ে ছিল ১। দল বদলের জেরে সংখ্যা এক লাফে বেড়ে হয়েছিল ১৫। এত দিনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেই বাম পরিচালিত নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতি দখলে ঝাঁপাল তৃণমূল। তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসডিও (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাসের কাছে সমিতির সহ-সভাপতি সিপিএমের প্রদীপ মালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেন ওই ১৫ জন সদস্য। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমার পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থার সভা ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন এসডিও। সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির বিরুদ্ধেও অনাস্থা এনেছিল তৃণমূল। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। বর্তমানে তা এখনও বিচারাধীন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গত পঞ্চায়েত ভোটের ফলে ২৬ সদস্যের নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে দলগত অবস্থান ছিল বামেরা ১৯, কংগ্রেস ৬ ও তৃণমূল ১। মাস কয়েক ধরে একে একে বেশ কিছু বিরোধী সদস্যকে নিজেদের দিকে টেনে আনতে সক্ষম হয় তৃণমূল। তার জেরে বর্তমানে দলগত অবস্থান হয়েছে তৃণমূল ১৫, সিপিএম ১০ ও কংগ্রেস ১। এ দিন অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে আসা ওই সদস্যেরা অভিযোগ করেন, “সহ-সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিল তছরুপ করেছেন। উনি পঞ্চায়েতের সব সদস্যদের নিয়ে ঠিক মতো কাজ করেন না।’’ তাই ওঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে বলে ওই সদস্যদের বক্তব্য। অন্য দিকে, ত্রিদিবের হুঁশিয়ারি, ‘‘সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে এ দিন থেকেই ওই এলাকাকে বিরোধী-শূন্য করার কাজ শুরু হল।’’
এ দিন বহু চেষ্টা করেও প্রদীপবাবুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সিপিএমের তপন মাল বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ জানেন, তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির কিছু সদস্যকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে। তাঁদের দিয়েই অনাস্থা আনার চেষ্টা করছে। ক্ষমতা থাকলে ওই সদস্যদের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটে জিতিয়ে নিয়ে আসুক তৃণমূল।’’