লাভপুরের বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে দাবি শুনলেন ডিএম

ঠিবা থেকে লাঘাটায় নৌকায় নদী পেরিয়ে জেলাশাসক যান দুলা-সাহাপুর গ্রামে। সেখানে গ্রামবাসীরা তাঁকে জানান, গর্ত হয়ে নদী বাঁধ ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। মাটির বস্তা দিয়ে তাঁরা কোনওরকমে ভাঙন রোধ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লাভপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৭ ০২:২০
Share:

বৃষ্টি: ঢেকেই পথে। নিজস্ব চিত্র

হাতের নাগালে জেলাশাসককে পেয়ে কেউ চাইলেন ২৪ ঘণ্টার ডাক্তার, কেউ বোল্ডার বাঁধাই নদী বাঁধ, কেউ বা উন্নতমানের সেতু। রবিবার লাভপুরের বন্যা পরিস্থিতিতে খতিয়ে দেখতে গিয়ে এমনই নানা দাবির মুখে পড়লেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় লাভপুরের ঠিবা পঞ্চায়েত এলাকার খাঁপুর স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকায় দু’জায়গায় কুঁয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়। সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখতে এ দিন লাভপুরে পৌঁছোন জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন বোলপুরের এসডিও শম্পা হাজরা, লাভপুরের বিডিও জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস, বোলপুরের এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষ প্রমুখ। আধঘণ্টা খানেক বিডিও অফিসে বৈঠক সেরে পৌনে ১১ টা নাগাদ জেলাশাসক পৌঁছোন ডুবে যাওয়া লাঘাটা সেতুর কাছে। সেখান ডুবে যাওয়া রাস্তা, সেতু এবং নৌকা পারাপার পরিদর্শনের পরে তিনি যান ঠিবা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে ছিলেন সাইন কাজী, সুনীল ঘোষরা। তাঁরা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডাক্তার থাকলেও সন্ধ্যের পরে কেউ থাকে না। এনিতেই বন্যাপ্রবণ এলাকা বলে সাপের উপদ্রপ, পেটের রোগ লেগেই রয়েছে। তার উপরে বর্ষার মরসুমে রাস্তাও তলিয়ে যায়। তখন রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। আপনি ২৪ ঘণ্টা ডাক্তারের ব্যবস্থা করে দিন।’’

জেলাশাসক তাঁদের দাবির যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

Advertisement

ঠিবা থেকে লাঘাটায় নৌকায় নদী পেরিয়ে জেলাশাসক যান দুলা-সাহাপুর গ্রামে। সেখানে গ্রামবাসীরা তাঁকে জানান, গর্ত হয়ে নদী বাঁধ ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। মাটির বস্তা দিয়ে তাঁরা কোনওরকমে ভাঙন রোধ করেছেন। নজরুল হক, বকুল দাসরা বলেন, ‘‘এখানে নদী বাঁক নিয়েছে, তাই স্রোত আছড়ে পড়ে। এখানে বোল্ডার দিয়ে নদী বাঁধাই করে দিন। নাহলে বাঁধ ভেঙে গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’’

জেলাশাসক তাঁদের জল সরলে আপাতত বালির বস্তা পরে বোল্ডার দিয়ে নদীবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন। দুটো নাগাদ ওইগ্রাম থেকে লাভপুর অভিমুখে রওনা দেন তিনি। লাঘাটার কাছে কয়েকজন যাত্রী তাঁর কাছে উন্নতমানের সেতু নির্মাণের দাবি জানান। জেলাশাসক বলেন, ‘‘সেতু নির্মাণের বিষয়টি অনেক টাকার প্রকল্প। জেলা পরিষদ এবং আমরাও বিষয়টি দেখছি। বলা যেতে পারে সেতু নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।’’ পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘ঠিবা পঞ্চায়েত এলাকায় ২ জায়গায় বাঁধ ভেঙে ঠিবা গ্রামের সামান্য কিছু অংশ এবং জমি জলমগ্ন হয়েছে। পরে ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। কোনও পরিবার বন্যা কবলিত হয়নি। কারণ বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা স্বত্ত্বেও কেউ আশ্রয় নেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন